২৪ এর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দ্বীপের একমাত্র শহীদ তানভীর ছিদ্দিকীর বড় ভাই দীর্ঘ কারানির্যাতিত যুবদল নেতা জিয়াকে মহেশখালীর কালারমারছড়া বীরনিবাস থেকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। এতে দীর্ঘক্ষণ সড়ক অবরোধ করেছেন ছাত্র-জনতাসহ হাজার হাজার নারী-পুরুষ। ১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবারে ভোরে কোস্টগার্ডের অভিযানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত দ্বীপের একমাত্র শহীদ তানভীর ছিদ্দিকীর বড় ভাই দীর্ঘ ১৩ বছর কারানির্যাতিত যুবদল নেতা জিয়াকে মহেশখালীর কালারমারছড়া বীরনিবাস থেকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। তাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে দীর্ঘক্ষণ সড়ক অবরোধ করেছেন বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, ছাত্র-জনতা ও দলীয় নেতাকর্মীসহ হাজার হাজার নারী-পুরুষ। এতে দীর্ঘক্ষণ ধরে সড়কে গাড়ী চলাচলা বন্ধ রেখেছেন অবরোধকারীরা। চট্টগ্রাম সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্যানুসারে জানাগেছে, অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ জিয়াউর রহমান জিয়া এবং তার সঙ্গী মহিউদ্দীনকে আটক করেছেন কোস্টগার্ড। জিয়াউর রহমান জিয়া উপজেলা কালারমারছড়া ইউনিয়নের নুরুল আমিন লেদুর পুত্র। অপরজন তার সঙ্গী প্রবাসী মহিউদ্দিনকে করেছেন। এইদিকে জিয়াউর রহমান জিয়া নিরপরাদ দাবি এবং আ’লীগের দোসরদের ষড়যন্ত্র মূলক গ্রেফতারের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন মহেশখালীর বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী, হাজার হাজার নারী পুরুষ ও বিক্ষুব্ধ জনতা। এসময় বিক্ষোভ সমাবেশে উত্তেজিত জনতা জিয়াউর রহমানকে শীঘ্রই ছেড়ে দেয়ার দাবি জানান। স্বৈরাসরকারের শাসনামলে দীর্ঘ ১৩বছর কারাভোগ করার পর ১৬ জানুয়ারী ২৪ইং জেলজুলুম থেকে মুক্তি পেলেও এলাকায় আসতে পারেনি। ৫ আগস্টের ছাত্র আন্দোলনে স্বাধীনতা লাভ করার পরবর্তীতে জন্মস্থানে এসে এলাকার মানুষের সাথে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করলেও আ’লীগের দোসর ষড়যন্ত্রে থেমে নেই। আ’লীগ দোসর এবং শহীদ তানভীর হত্যাকান্ডে জড়িত আসামীদের ষড়যন্ত্রে শিকারে কোস্টগার্ডের নেতৃত্বে যৌথবাহিনী অভিযানে কারানির্যাতিত নিরহ জিয়াকে আটক করেছেন। শহীদ পরিবারের পক্ষে সাবেক ছাত্রদলের সভাপতি মিজানুর রহমান ও উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহাজান বখতিয়ারে দাবী আ’লীগ পতনের পর দোসর রয়ে গেছে। তারই ফলশ্রুত চট্টগ্রামে শহীদ তানভীরের বড়ভাই যুবদল নেতা জিয়াকে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী অবসরপ্রাপ্ত কল্যাণ স্বংস্থার কর্তৃক দেয়া বীরনিবাস থেকে আটক করেছেন। তাকে মুক্তি না দিলে মহেশখালীকে অচল করা হবে বলে হুশিয়ারী দেন। পাশাপাশি আ’লীগের দোসরের অনুসারী ওইসব কর্মকর্তাদের প্রত্যাহারের দাবী তুলেন। মহেশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ কাইছার হামিদ জানান, যৌথবাহিনীর অভিযানটির বিষয় নিশ্চিত করেন। তবে এখনো পর্যন্ত তাদের পাঠানো তথ্যাদি পাইনি।