বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জি কে গউছকে প্রথম শ্রেণির বন্দীর মর্যাদা দিয়ে হবিগঞ্জ কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: জাকির হোসেনের আদালতে জি কে গউছের শ্যোন অ্যারেস্ট বিষয়ে শুনানি হয়।
২০১৫ সালে পবিত্র ঈদের দিন হবিগঞ্জ কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় জি কে গউছকে ছুরিকাঘাত করা হয়। ওই ঘটনায় একমাত্র আসামি যুবলীগ নেতা ইলিয়াছের সাজা হয়। কারাগারের ভেতরে বিএনপি নেতা জি কে গউছ ছুরিকাঘাতের ঘটনায় জেল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি হবিগঞ্জ সদর থানা পুলিশ পৃথক একটি জিডি করে। পরে তা মামলায় রূপান্তরিত হয়। পুলিশের দায়ের করা মামলায় ছুরিকাঘাতের শিকার জি কে গউছকেই আসামি করা হয়েছে। বিচারক মো: জাকির হোসেন অবজারভেশনে বলেন, জি কে গউছ বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায়বিষয়ক সম্পাদক, হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সেক্রেটারি, বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং তিনি কোনো মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি নন। সার্বিক দিক বিবেচনায় কারাবিধি অনুযায়ী জি কে গউছকে প্রথম শ্রেণির বন্দীর মর্যাদা দেয়া হলো।
এরআগে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে জি কে গউছকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় দলীয় নেতাকর্মীসহ কয়েক হাজার মানুষ আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয় জি কে গউছকে একনজর দেখার জন্য। গত ২৯ আগস্ট রাত ৭টার দিকে হাইকোর্ট এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ জি কে গউছকে আটক করে। ৩০ আগস্ট ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে ঢাকা সিএমএম কোর্টে হাজির করা হয়। একই সাথে ২০১৫ সালের ১৮ জুলাই পবিত্র ঈদের দিন হবিগঞ্জ কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় জি কে গউছকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় দায়েরকৃত একটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন ডিবির কোতয়ালী জোনাল টিমের উপ পরিদর্শক আফতাবুল ইসলাম। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদের আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে গত ২ সেপ্টেম্বর একই আদালতে হাজির করে আবারো ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। কিন্তু আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। গত ৪ সেপ্টেম্বর জি কে গউছকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে হবিগঞ্জ কারাগারে নিয়ে আসা হয়।