কোনো অবস্থায় এই সরকারের অধীনে নির্বাচনী ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। হাসপাতালে গণতন্ত্র মে র শীর্ষ নেতারা তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন বলে জানান নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। গত মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে হাসপাতালের সামনে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
মান্না সাংবাদিকদের বলেন, বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। রাজনৈতিক কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। আমরা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছি। তাকে জানিয়েছি, আমরা এক দফার আন্দোলন করছি। সামনের মাসে জোরদার আন্দোলন করবো, এটা বলেছি। উনি বলেছেন, আপনারা যারা বাইরে আছেন তারা সবাই মিলে আন্দোলন করেন। আমি দেখতে চাই আপনার আন্দোলন করছেন, আন্দোলন করতে হবে। আমাদের এই আন্দোলনে ওনার সমর্থন আছে। আমাদের একজন নেতা বলেছেন সরকার একটা নির্বাচনের জাল বিছানোর চেষ্টা করছে। উনি বলেছেন, কোনো অবস্থায় এই সরকারের অধীনে নির্বাচনী ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না। এসময় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, উনি বলেছেন দেশকে বাঁচাতে হলে এই আন্দোলনটা করতে হবে। দেশকে রক্ষা করতে এই আন্দোলনে বিজয়ী হতে হবে। এর আগে রাত ১০টার দিকে হাসপাতালে যান- জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম। শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে গত ১০ জুন দিনগত রাত পৌনে ৩টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান খালেদা জিয়া। প্রায় দুই সপ্তাহ চিকিৎসা নিয়ে ২৪ জুন সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন তিনি। এর ঠিক দেড় মাস পর গত ৯ আগস্ট আবারও তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর গত প্রায় এক মাস ধরে সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস, আর্থাইটিস, রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্রে জটিলতা, ফুসফুস, চোখ ও দাঁতের নানা সমস্যায় ভুগছেন। এছাড়া তার মেরুদ-, ঘাড়, হাত ও হাঁটুতে বাতের সমস্যাসহ আরও কিছু শারীরিক জটিলতা রয়েছে।