শরীরের সুস্থ কোষ তৈরির জন্য কোলেস্টেরল প্রয়োজন। ভালো (এইচডিএল) ও খারাপ (এলডিএল) এ দু’ধরনের কোলেস্টেরলই শরীরে থাকে। তবে যদি শরীরে উচ্চ মাত্রার লো-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন কোলেস্টেরল (এলডিএল, যা খারাপ কোলেস্টেরল নামেও পরিচিত) বেড়ে যায় তাহলে হৃদরোগের ঝুঁকি দ্বিগুণ বাড়ে। মোমজাতীয় কোলেস্টেরল ধমনীর দেওয়ালে ও তার উপরে জমা হতে পারে। ফলে ধমনীর পথ বন্ধ হয়ে যায় ও রক্ত প্রবাহকে কঠিন করে তোলে। কখনো কখনো রক্ত প্রবাহিত না হওয়ার কারণে অত্যধিক চাপে ধমনী ছিঁড়ে যায়, ফলে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঘটনা ঘটে। তাই উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যাকে অবহেলা করা উচিত নয়। শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেলে একাধিক লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। যদিও বেশিরভাগ মানুষ সেগুলোকে সাধারণ ভেবে অবহেলা করেন। উচ্চ কোলেস্টেরলের কারণে ত্বক-নখ ও চোখে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয়, চলুন জেনে নেওয়া যাক-
ত্বকে ফুসকুড়ি: রক্ত প্রবাহে অত্যধিক কোলেস্টেরল ত্বকে ফ্যাটি জমার কারণও হতে পারে। এটি ফুসকুড়ি-সদৃশ ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে। এক্ষেত্রে যন্ত্রণাদায়ক কমলা বা হলুদাভ ব্রণের মতো ফোঁড়া বা ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে ত্বকে। আমেরিকান একাডেমি অব ডার্মাটোলজি অ্যাসোসিয়েশন অনুসারে, ত্বকের এ ধরনের সমস্যা চোখের কোণে, হাতের তালুতে বা নীচের পায়ের পেছনে’সহ অনেক স্থানে দেখা দিতে পারে।
নখের দাগ: অতিরিক্ত ফলক জমলে ধমনী সংকুচিত হয়ে যায়। ফলে নখ’সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত প্রবাহ কমে যায়। এ কারণে নখে লম্বা কালো দাগ তৈরি হয়। একে স্প্লিন্টার হেমোরেজ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। মেডলাইন প্লাসের তথ্যমতে, এক্ষেত্রে নখের নিচে পাতলা, লাল থেকে লালচে বাদামিরঙা রেখা দেখা দিতে পারে। নখে এ ধরনের কোনো দাগ দেখলে এখনই সতর্ক হন।
চোখে হলুদ দাগ: জ্যানথেলাসমা, বা জ্যানথেলাসমা প্যালপেব্রামের (এক্সপি) কারণে চোখের পাতার কোণে বা নাকের পাশে হলুদ দাগের সৃষ্টি হয়। ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের মতে, ত্বকের নিচে কোলেস্টেরল জমা হয়ে জ্যান্থেলাসমা তৈরি করে। স্বাস্থ্য সংস্থা অনুসারে, ডায়াবেটিস, হাইপারলিপিডেমিয়া (উচ্চ কলেস্টেরল) ও থাইরয়েডের সমস্যা’সহ অন্যান্য অবস্থার কারণেও জ্যান্থেলাসমাস হতে পারে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া