নানা আনুষ্ঠানিকতায় পালিত হলো ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন সমাজ সেবক, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আত্মদানকারী জাতীয় বীর, শহীদ ময়েজউদ্দিনের ৩৯তম শাহাদাৎ বার্ষিকী। দিবসটি উপলক্ষে কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় বনানী কবরস্থানে শহীদের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় জাতীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ গাজীপুর জেলা, মহানগর, কালীগঞ্জ উপজেলা, পৌর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বেলা সাড়ে ১১টায় কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে শহীদ ময়েজউদ্দিন স্মৃতিস্তম্ভে¢ ও জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুারালে পুষ্পার্ঘ অর্পন। এ সময় কালীগঞ্জ উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোয়াজ্জেম হোসেন পলাশ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজিজুর রহমানসহ স্থানীয় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং উপজেলার বিভিন্ন দপ্তর প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। সাড়ে ১১টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও দরিদ্র ভোজ। এতে বাংলাদেশ শহীদের কন্যা মেহের আফরোজ চুমকি এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। দুপুর ২টায় শহীদের নিজ গ্রামের বাড়ি নোয়াপাড়া স্কুল মাঠে দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও দরিদ্র ভোজ। বিকাল ৪টা পৌর এলাকার দেওপাড়ায় শহীদ ময়েজউদ্দিন ফেরীঘাটে দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও দরিদ্র ভোজ। বাদ মাগরিব শহীদ ময়েজউদ্দি কল্যাণ ট্রাষ্টে মিলা, দোয়া ও তবারক বিতরণ। অন্যদিকে, দিবসটি উপলক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে পর্যায়ক্রমে উপজেলার পৌরসভা, সকল ইউনিয়ন এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে দোয়া মাহফিল ও দরিদ্র ভোজের আয়োজন করা হয়েছে। ১৯৮৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর তৎকালীন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সারাদেশে ২২ দল আহুত হরতালের আহ্বান করে। ওইদিন গাজীপুরের কালীগঞ্জে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের মিছিলে শহীদ ময়েজউদ্দিন নেতৃত্ব দেন। ওই সময় কালীগঞ্জ বাজার এলাকায় কতিপয় সন্ত্রাসী তাঁর ওপর হামলা চালালে ঘটনাস্থলেই তিনি শাহাদাৎ বরণ করেন।