ডায়াবেটিস রোগী এখন ঘরে ঘরে। এই রোগ প্রতিরোধের একমাত্র উপায় হলো জীবনধারণে পরিবর্তন আনা। ডায়াবিটিস এমন একটি সমস্যা যা আমাদের রক্তের অভ্যন্তরে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে না।
শরীরে অগ্ন্যাশয় নামক একটি গ্রন্থি আছে। যা ইনসুলিন নামক হরমোন তৈরি করে। এই হরমোন শরীরে প্রবাহিত রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। তবে অগ্ন্যাশয় যখন কিছু ঘাটতির কারণে ইনসুলিনের উৎপাদন কমিয়ে দেয় বা বন্ধ করে দেয়, তখন রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ক্রমাগত বাড়তে থাকে। পরবর্তীতে তা ডায়াবেটিসে রূপ নেয়। ডায়াবেটিসের চেয়েও মারাত্মক হতে পারে প্রিডায়াবেটিস। ডায়াবেটিস হওয়ার আগেই প্রিডায়াবেটিসের সম্মুখীন হতে হয়।
ডায়াবেটিস রোগের প্রাথমিক অবস্থা এটি। এ সময় রক্তে শর্করার মাত্রা যেহেতু অতটাও বাড়ে না, তাই একে ডায়াবেটিস না বলে প্রিডায়াবেটিস বলা হয়। মায়ো ক্লিনেকের মতে, প্রি-ডায়াবিটিস হলে আক্রান্ত মানুষের শরীরে বেশ কিছু দেখা দিতে পারে। যেমন- ১. ত্বকের বিভিন্ন অংশে বাদামি রঙের দাগ-ছোপ দেখা দেয়। ২. হাত বা পায়ে ঠোসার মতো হওয়াকে বলে বুলোসিস ডায়াবেটিকোরাম। এক্ষেত্রে কোনো ব্যথা থাকে না। ৩. চোখে কম দেখা ৪. দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়া ৫. বারবার পানি পিপাসা পাওয়া ৬. অতিরিক্ত মূত্রত্যাগের অনুভূতি ইত্যাদি। এসব লক্ষণ দেখা দিলে আর অপেক্ষা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এছাড়া তলপেটে মেদ জমলে বা ঘাড়ে কালো ছোপ পড়তেও দেখা যায় প্রিডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে। ডায়াবেটিস হলে ত্বকের সংক্রমণ, জ্বালা, ত্বকে ফুসকুড়ি, কালো ছোপ ইত্যাদির সমস্যা বাড়ে। কিডনির সমস্যাও বাড়ে ডায়াবেটিস হলে। তাই ডায়াবেটিস রোগীর সচেতন থাকতে হবে। সূত্র: মায়োক্লিনিক