সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন

দুর্গাপুরে লাগামহীন সবজির দামে ক্রেতারা বিপাকে

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৩

গত কয়েকদিনে টানা বর্ষণে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সবজি ক্ষেত। ফলে বাজারে পর্যাপ্ত সবজি না থাকায় জনসাধারণের চাহিদা পূরণ করতে না পারার অজুহাতে বাড়ছে সবজির দাম। ফলে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সবজির চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। বিষয়টিকে কেউ বলছেন, বাজারে প্রশাসনের মনিটরিং নেই। আর ব্যবসাঢীরা বলছেন, চাহিদা অনুযায়ী সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। এ নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন সব্জি বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, বিগত দুই মাস ধরে সবজির দাম ওঠা-নামা করায় পাইকারী ব্যবসায়িরা মাল ষ্টক করতেও ভয় পাচ্ছেন। চলতি মৌসুমে উৎপাদিত বিভিন্ন রকমের সবজি বাজারে থাকলেও অতিরিক্ত দাম থাকায় তা কিনতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। সবজির মধ্যে আলু প্রতি কেজি- ৪৫-৫০ টাকা, কড়লা- ৮০, কাকরোল- ৮০, পটল- ৬০, বেগুন- ৭০, ঢেঁড়স- ৫০, টমেটো ৮০, ঝিঙ্গা- ৬০, পেঁপে- ৩০, লতা- ৯০, চাল কুমড়া (প্রতিটি)- ৫০, লাউ- ৬০, মিষ্টি লাউ- ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি নতুন ফুলকপি (ছোট) ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গাঁওকান্দিয়া গ্রামের কৃষক হযরত বেপারি বলেন, গত কয়েকদিনের টানা বর্ষনে লাল শাক, মুলা শাক, পুঁই শাক নষ্ট হয়ে গেছে। নতুন করে বীজতলা তৈরী করে আবার ফলাতে সময় লেগে যাবে। বাজারে কৃষকের ফলানো সবজি কম থাকায় এ সুযোগ নিচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকারি ব্যবসায়ীরা। পৌরশহরের খুচরা সবিজ ব্যবসায়ি হাফিজ উদ্দিন বলেন, বাজারে কৃষকদের আবাদ করা সবজির চাহিদা রয়েছে এখনো। কিন্ত বৃষ্টিতে সবজি ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় বাজার গুলোতে কৃষকের উৎপাদিত সবজি আমদানী না থাকায় আমরা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বেশি দামে সব্জি কিনে আনতে হয়, তাই বাজারে একটু দাম বেশি। এছাড়া পরিবহন, লেবার ও দোকান ভাড়া এখন দ্বিগুন বেড়ে গেছে। বাজারে আসা ক্রেতা করিম মিয়া বলেন, আমরা ছোট চাকরি করি। দিনে-দুপুরে সবজি বাজারে এক ধরনের ডাকাতি চলছে, প্রশাসনের কোনো নজরদারি নেই। সারা বছর শুনে এলাম মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধি বাজার-দর তদারকি করছেন। তারা কোথায়? আর ভোক্তা অধিকার সংস্থার কিছু লোক ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করলে সাধারণ মানুষের পকেট কাটা যেতো না। প্রতিটি সবজির দামই বেড়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন, ভোক্তা অধিকার ও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নজরদারী প্রয়োজন। এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, আমি অত্র উপজেলায় সদ্য যোগদান করেছি। দু‘একদিনের মধ্যেই বাজার মনিটরিং সহ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com