পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, শিক্ষকদের অধিকার ও সম্মান প্রতিষ্ঠার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার সবসময় আন্তরিক রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষকদের বেতন ও মর্যাদা বৃদ্ধি করেছেন। শিক্ষকদের আস্থা ও ভরসার স্থল তিনি। তাই উন্নত-সমৃদ্ধ মর্যাদাশীল দেশ গঠনে শিক্ষকদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। শনিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলা মাঠে জেলার মাধ্যমিক, কারিগরি ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উপমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর শিক্ষকরা মর্যাদা পাননি। ৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো সকল ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে শিক্ষকদের মর্যাদার ক্ষেত্রে। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু ৩৭ হাজার এবং ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণ করেছিলেন। তিনি প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজকে সরকারিকরণ করেছেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর কোনো সরকারই এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। তিনি আরও বলেন, শিক্ষাখাতে অভাবনীয় উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বিনামূল্যে বই বিতরণ, মেধাবৃত্তি ও উপবৃত্তি প্রদান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, শিক্ষাখাতে বাজেট বরাদ্দ যা বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলের ১৩ গুণ বেশি, শিক্ষক নিয়োগ ও মর্যাদা বৃদ্ধি, নতুন বিদ্যালয় স্থাপন, কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা, দারিদ্রপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচি, সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড, কম্পিউটার ল্যাব ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন এবং সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজ করছে। শরীয়তপুরে শেখ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ নতুন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে। শরীয়তপুর জেলার বহু সকল ননএমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছে। স্কুলের নতুন নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে, সীমানাপ্রাচীর হয়েছে, শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। শিক্ষকদের উদ্দ্যেশে উপমন্ত্রী বলেন, আপনারা ক্লাসেই সঠিকভাবে পাঠদান করাবেন। কেউ প্রাইভেট টিউশনি করাবেন না। শিক্ষার্থীদের সন্তানতূল্য মনে করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ সম্পর্কে শিক্ষাদান করবেন। যাতে শিক্ষার্থীরা কখনো বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের প্রশ্নে আপোস না করে। কারণ, আজকের শিক্ষার্থীই আগামীদিনের বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিবে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দীন আহম্মেদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন, শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন অপু এমপি, শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক। প্রধান বক্তা ছিলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। বক্তব্য রাখেন, শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুল আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে প্রমূখ।