শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::

উড়তে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকাকে লজ্জা দিলো নেদারল্যান্ডস

স্পোর্টস ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৩

উড়তে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকাকে মাটিতে নামিয়ে আনলো নেদারল্যান্ডস। শ্রীলঙ্কা-অস্ট্রেলিয়ার মতো পরাশক্তি যা পারেনি তাই করে দেখালো পুচকে ডাচরা। দিলো বড় লজ্জা। প্রোটিয়াদের হারিয়ে বিশ্বকাপের বড় অঘটন জন্ম দিলো তারা। বৃষ্টি বিঘিœত ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৮ রানে হারিয়েছে নেদারল্যান্ডস। উড়তে উড়তে হঠাৎ ঝরে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য নতুন কিছু নয়। এর আগেও এমন রূপ ক্রিকেট বিশ্ব দেখেছে বহুবার। তবুও র‍্যাঙ্কিংয়ে ১৪তম অবস্থানে থাকা নেদারল্যান্ডসের মতো দলের বিপক্ষে এমন পরাজয় মেনে নেয়াটা কঠিন। ডাচদের দেয়া ২৪৫ রান তাড়া করতে নেমে ৪২.৫ ওভারে প্রোটিয়ারা থেমেছে ২০৭ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকাকে কোনো সুযোগই দেয়নি নেদারল্যান্ডস। দাঁড়াতেই দেয়নি সোজা হয়ে। যা খানিকটা লড়াই করার একাই করেন ডেভিড মিলার। বাকিরা সবাই ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। কে বলবে এই দলটাই ক’দিন আগে স্কোরবোর্ডে চার শতাধিক রান তুলেছে! অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে দিয়েছিল বিশাল ব্যবধানে। ৮ম ওভারের শেষ বলে কুইন্টন ডি কককে দিয়ে ভাঙনের শুরু প্রোটিয়াদের ইনিংসের। ডি কক ফেরেন ২২বলে ২০ রানে, অ্যাকারম্যানের শিকার হয়ে। এক ওভার পরেই ফিরেন টেম্বা বাভুমা। মিরির বলে স্ট্যাম্প ভাঙার আগে ৩১ বলে করেন ১৬ রান। দ্রুত ফেরেন মার্করাম ও ডুসেনও। বিপদে দায়িত্ব নিতে পারেননি তারা।
ডুসেন ৭ বলে ৪ রান করে মিরির ও মার্করাম ফেরেন ৩ বলে ১ রান করে মিকিরেনের শিকার হন।১১.২ ওভারে মাত্র ৪৪ রানে ৪ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখানেই ভেঙে যায় তাদের ইনিংসের মেরুদ-। আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি সেখান থেকে। যদিও ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার চেষ্টা করেছিলেন। তবে দিনটা ছিল আজ ডাচদেরই। দিনটা ছিক তাদের ইতিহাস গড়ার৷ ফলে বাঁধা হতে পারেননি ক্লাসেন, মিলার। দু’জনের জোট ভাঙে ৪৫ রানেই। ২৮ বলে ২৮ রানে ফেরেন ক্লাসেন, ভেন বিকের শিকার হন তিনি।
ডেভিড মিলারকেও ফেরান বিক। ৫২ বলে ৪৩ রান করা এই ব্যাটারকে বোল্ড করেন তিনি। ৩১ ওভারে ১৪৫ রানে ৭ উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। এখান থেকে হার ছিল শুধুই সময়ের অপেক্ষা। জেরাল্ড কোয়েটজের ২৩ বলে ২২ ও কেশভ মহারাজের ক্যারিয়ার সেরা ৩৭ বলে ৪০ রান শুধু ব্যবধান কমায়। ১ বল বাকি থাকতেই ২০৭ রানে অলআউট হয় প্রোটিয়ারা। ইতিহাস গড়ার দিনে তিন উইকেট নেন বিক, ভেন মিকিরেন ও বাস ডি লিডে পান জোড়া উইকেট। এবারই অবশ্য প্রথম নয়, গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে চমকে দিয়েছিল ডাচরা। এবারো ধরে রাখলো যার ধারাবাহিকতা। সেই সাথে তুলে নিল ভারত বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম জয়।
ধর্মশালায় এই দিন ম্যাচের শুরুতেই বাগড়া দেয় বৃষ্টি। বারবার সময় পরিবর্তন করে অবশেষে ৪টার পরপর মাঠে গড়ায় খেলা। কমে আসে ম্যাচের দৈর্ঘ্য। ৪৩ ওভার করে নেমে আসে ম্যাচের পরিধি। বৃষ্টির মতো করেই যেন শুরুতে ঝরতে থাকে নেদারল্যান্ডসের উইকেট। ৫০ রানেই নেই চারজন।

সেখান থেকে স্বপ্নের মতো প্রত্যাবর্তন। যা প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা তো বটেই, ভাবতে পারেনি হয়তো ডাচ সমর্থকরাও। ৩৪ ওভারে ১৪০ রানে ৭ উইকেট হারানো দলটা পরের ৯ ওভারে যোগ করে ১০৫ রান! এই সময়ে হারায় মোটে ১ উইকেট। তাতে দলও পেয়ে যায় অবিশ্বাস্যভাবে বেশ ভালো সংগ্রহ। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার বিক্রমজিৎ সিং ১৬ বলে মাত্র ২ রানে শিকার হন রাবাদার। তুলনামূলক ভালো খেলতে থাকা ম্যাক্স ও ডাউড ফেরেন ২৫ বলে ১৮ রানে, জানসেনের শিকার হয়ে। ১০.৫ ওভারে ২৫ বলে ১২ করে কোয়েটজের বলে ফেরেন বাস ডি লিডে। এরপর অ্যাকারম্যান ১২ ও শ্রিব্রান্ড ৩৭ বলে ১৯ রানে ফিরলে ২০.২ ওভারে ৮২ রানে ৫ উইকেট হারায় ডাচরা। সেখান থেকে তেজা নিদামানুরা ও স্কট এডওয়ার্ডসের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর ভিত পায় নেদারল্যান্ডস। তেজা ২৫ বলে ২০ করে ফিরলেও বিধ্বংসী হয়ে উঠেন স্কট। ৫৩ বলে তুলে নেন ফিফটি।
তবুও থামেননি, তাকে থামাতে পারেননি প্রোটিয়া বোলাররা। শেষ পর্যন্ত ৬৯ বলে ৭৮ রানে অপরাজিত থাকেন স্কট। দল পায় ৪৩ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪৫ রানের সংগ্রহ। ভেন ডার মিরির ১৯ বলে ২৯ ও আয়ন দত্তের ৯ বলে ২৩* রানের ক্যামিও বড় ভূমিকা রাখে এই সংগ্রহে। জোড়া উইকেট নেন রাবাদা, এনডিগি ও জানসেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com