বিশ্বকাপ শেষ ইংল্যান্ডের। গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিতে হচ্ছে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। টানা পাঁচ হারে ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ থ্রি লায়ন্সদের। বিপরীতে জোড়া হারে আসর শুরু করলেও অস্ট্রেলিয়া এখন সেমিফাইনাল থেকে মাত্র এক পা দূরে। টানা পাঁচ জয়ে উঠে এসেছে পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে। গত শনিবার ভারতের বিখ্যাত আহমেদাবাদ নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দল। যেখানে টসে হেরে আগে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া। ৪৯.৩ ওভারে ২৮৬ রান সংগ্রহ করে তারা। জবাবে ইংল্যান্ড গুটিয়ে যায় ৪৮.১ ওভারে ২৫৩ রানে। ৩৩ রানের জয় পেল অস্ট্রেলিয়া। রান তাড়া করার ইংলিশদের শুরুতেই ভড়কে দেন মিচেল স্টার্ক। জনি বেয়ারেস্টোকে ইনিংসের প্রথম বলেই শিকার বানান। ফেরান গোল্ডেন ডাক উপহার দিয়ে। জো রুটও থিতু হতে পারেননি, ৪.৩ ওভারে স্টার্কের আঘাতেই ঘটে তার ইনিংসের পরিসমাপ্তি। ১৯ রানে ২ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। সেখান থেকে ডেভিড মালান ও বেন স্টোকসের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। গড়ে প্রতিরোধ। ৮৪ রান আসে এই যুগলবন্দী থেকে৷ ৬৪ বলে ৫০ করে ফেরেন মালান। ৩৫.৩ ওভারে ১৬৯ রানের মাথায় ফেরেন স্টোকস। তার ব্যাটে আসে ৯০ বলে ৬৪ রান। তবে ব্যর্থ ছিলেন জশ বাটলার। ইংলিশ অধিনায়ক ফেরেন ৭ বলে মাত্র ১ রানে।
স্টোকস ফেরার পর আরো ১৭ রান যোগ হতেই ফেরেন আরো দু’জন। মইন আলি আউট হন ৪৩ বলে ৪২ রানে। এরপর ক্রিস ওকসের ৩৩ বলে ৩২ রান ইংলিশদের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখে। তবে সেই স্বপ্ন আর সত্য হয়নি। শেষ দিকে আদিল রাশিদের ১৫ বলে ২০ রান হয়ে থাকে শুধু সান্ত¡না। তিনটি উইকেট নেন জাম্পা। দু’টি করে উইকেট নেন প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজলউড। এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য শুরুটা ভালো হয়নি অস্ট্রেলিয়ারও। দ্বিতীয় ওভারেই মাত্র ১১ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ট্রাভিস হেড ফেরেন ১১ রানে।
দ্বিতীয় উইকেটটাও দ্রুত তুলে নেয় থ্রি লায়ন্সরা। ডেভিড ওয়ার্নার ফেরেন ১৫ রান করে। দু’টি উইকেটই নেন ক্রিস ওকস। তবে চেপে ধরার সুযোগ দেননি স্মিথ লাবুশানে জুটি। মাত্র ৩৮ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলা দলকে পথ দেখান দু’জনে। আর কোনো বিপদের সুযোগ না দিয়ে দলকে পৌঁছে দেন তিন অঙ্কের ঘরে।
২১.৩ ওভারে তৃতীয় উইকেটের পতন হয় অজিদের। জুটি ভেঙে ফেরেন স্মিথ। ৫২ বলে ৪৪ রানে আদিল রাশিদের শিকার তিনি। এক ওভার পর ৩ রানে ফেরেন জশ ইংলিশও। ১১৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় অজিরা। সেখান থেকে ক্যামেরন গ্রিনকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন লাবুশানে। মাঝে তুলে নেন ফিফটিও।
৩৩তম ওভারে লাবুশানে ফেরেন ৮৩ বলে ৭১ রান করে মার্ক উডের শিকার হয়ে। দলকে ২০০ পার করিয়ে ফেরেন গ্রিনও। ৪৭ রানে ফেরেন তিনি। এরপর স্টয়নিসের ৩২ বলে ৩৫, আর এডাম জাম্পার ১৯ বলে ২৯ রানে ২৮৬ রান অব্দি পৌঁছায় অস্ট্রেলিয়া।