আমরা দীর্ঘ ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মন্দিরের একটি রাস্তার জন্য অপেক্ষা করছি। আমরা কালো জালে আটকা পড়েছিলাম। আর সেই জাল থেকে ইউএনও স্যার আমাদের মুক্ত করেছেন। এভাবেই বলছিলেন গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালিয়া উত্তরপাড়া (মিস্ত্রী পাড়া) শ্রী শ্রী জয়কালী ও সর্বজনীন দূর্গা মন্দির কমিটির সভাপতি মানিক সূত্রধর। তিনি আরো বলেন, কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আজিজুর রহমান স্যারের হস্তক্ষেপ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় আমাদের এলাকায় মন্দিরে যাওয়ার জন্য সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দিরের রাস্তা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় নজরুল ইসলাম প্রধান বলেন, আসলে রাস্তাটি নিয়ে আমাদের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ একটি ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল। সম্প্রতি পূজাকে কেন্দ্র করে ইউএনও স্যার, চেয়ারম্যান ও মেম্বারের মাধ্যমে সেই ভুল বুঝাবুঝির অবসান হয়েছে। সবার জন্য রাস্তাটি এখন উন্মুক্ত হয়েছে। ওই গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলার পুনশহি উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক রমেশ চন্দ্র বলেন, রাস্তাটি নিয়ে প্রকাশ্যে কেউ কোন দিন বিরোধীতা না করলেও দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়দের ভোগান্তি ছিল। অবশেষে স্থানীয় মেম্বার, চেয়ারম্যান ও ইউএনও স্যারের সহযোগিতায় রাস্তাটি উন্মুক্ত হয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য শহীদ উল্লাহ শহীদ বলেন, রাস্তাটি নিয়ে স্থানীয় কয়েকটি পরিবারের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে ভুল বুঝাবুঝির চলছিল। আমি বিভিন্ন ভাবে একাধিকবার চেষ্ঠা করেছি। কিন্তু সমাধান না হলেও হাল ছাড়িনি। বিষয়টি নিয়ে ইউএনও স্যার ও চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে কথা বলেছি। পরে তাদের হস্তক্ষেপ ও সহযোগিতায় পূনরায় দায়িত্ব নিয়ে বিরোধের অবসান করে সমাধান করা হয়েছে। এখন কারো মধ্যে কোন বিরোধ নেই। রাস্তাটি মন্দিরে যাতায়াতকারী ও স্থানীয় সকল পথচারীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। জাঙ্গালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়ার গাজী বলেন, মন্দিরে যাওয়া রাস্তাটি দীর্ঘদিনের প্রতিবন্ধকতার বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে উভয় পক্ষকে তিনি বুঝিয়ে এবং প্রধান রাস্তা থেকে হিন্দুপাড়া একশ ফুটের দুরত্ব একটি রাস্তা তৈরি করার শর্তে অবশেষে মন্দিরের রাস্তাটি উন্মুক্ত হলো। তবে আমাদের ইউএনও সাহেবের ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আজিজুর রহমান বলেন, শ্রী শ্রী জয় কালীমন্দির এর কমিটির নেতৃবৃন্দরা দূর্গাপূজার প্রাক্কালে এসে রাস্তার জটিলতার বিষয়টি আমাকে অবগত করেন। তারা বলেন, গত প্রায় ১০ বছর ধরে এই রাস্তাটির জন্য এদিক-ওদিক ছুটাছুটি করেছেন কিন্তু কোন সমাধান পায়নি। পরে আমি নিজে সরেজমিন পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এবং ওয়ার্ড মেম্বারকে সাথে নিয়ে এটি সমাধান করি। আসলে মূলত কিছু স্বার্থন্বেষী ব্যক্তি নেপথ্যে থেকে রাস্তটি না হওয়ার জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রেখেছিল।