আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া কাসেমুল উলুম পটিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ও আল্লামা ওবায়দুল্লাহ হামজাকে মহাপরিচালক পদে পুনর্বহালের দাবিতে ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেল তিনটায় পটিয়া সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত বিশাল অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ‘আবনায়ে জামিয়া’র আহবায়ক, চট্টগ্রাম ১৫ আসনের সাংসদ প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নিজামুদ্দিন নদভী বলেন, আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া জমিরিয়া কাসেমুল উলুম পটিয়া মাদ্রাসা, শুধু বাংলাদেশ নয়, উপমহাদেশের অন্যতম বৃহৎ দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই মাদ্রাসার রয়েছে এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস এবং এক স্বর্ণালি অধ্যায়। একনিষ্ঠাতা, সূদুরপ্রসারী চিন্তা, প্রজ্ঞা ও তাকওয়া দ্বারা এই মাদ্রাসা তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন মুফতি আযিযুল হক (রহ.)। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠাতা হযরতের পদাঙ্ক অনুসরণ করে হাজী ইউনুছ (রহ.), আল্লামা হারুন ইসলামাবাদী ও আল্লামা নুরুল ইসলাম কদীম (রহ.), আল্লামা মুফতি আবদুল হালীম বুখারী (রাহ.) এবং সর্বশেষ আল্লামা ওবাইদুল্লাহ হামযা জামেয়া পটিয়ার মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবর রাতে বহিরাগতের নিয়ে একটি কুচক্রী মহল মাদ্রাসার কিছু বিপদগামী ছাত্রদের ব্যবহার করে মহাপরিচালক মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামজাকে লাঞ্ছিত এবং তাঁর কাছ থেকে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেওয়ার ঘটনা জামেয়া পটিয়ার ঐতিহ্যের প্রতি চরম কুঠারাঘাত। জামিয়াকে সুস্থাধারায় ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহযোগিতায় সম্ভাব্য সকল পদক্ষেপ গ্রহনের কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, গত ২৮ অক্টোবর দিনগত রাতে যারা মাদ্রাসার পবিত্র অঙ্গনে ন্যাক্কারজনক ঘটনা সংঘটিত করেছে সুস্থ তদন্তের মাধ্যমে তাদের আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলমান। তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে হিকমতপূর্ণ সমাধানের পথে হাঁটার পরামর্শ দেন এবং সংঘাত বিহীন সন্ধির কথা বলেন। তিনি প্রশাসনের সাথে বসে বর্তমান দায়িত্বশীল মাওলানা আবু তাহের নদভীর সাথে কথা বলে দ্রুত সুসংবাদ দেওয়ারও আস্বস্ত করেন। সমাবেশে আগত ওলামায়ে কেরাম জামেয়ার উদ্ভূত সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বাড়ি না যাওয়ার ঘোষনা দিলে এমপি ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী বলেন, আল্লামা সুলতান যওক নদভী হুজুর কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ও অস্থিতিশীল অবস্থার দিকে না গিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধান করার নসীহত করেছেন। সবশেষে চকরিয়া বালাগুল মুবিন মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মুফতি এনাম সাহেবের মুনাজাতের মধ্য দিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ সমাপ্ত হয়।