বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি (এইচআরআরএস) ও হিউম্যান এইড ইন্টারন্যাশনাল (এইচএআই) এর র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ১০ ডিসেম্বর রোববার। ‘সবার জন্য মর্যাদা, স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার’ প্রতিপাদ্য নিয়ে উদযাপিত দিবসটির সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গন থেকে র্যালী বের হয়ে শহরের কাশীনাথ আলাউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সম্মুখে গিয়ে শেষ হয়। এরপর কাশীনাথ আলাউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ ক্যাম্পাসে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ কামাল হোসেনকে নিয়ে ফলদ বৃক্ষরোপন করা হয়। এসময় হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটির মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি ও মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি ছালেহ আহমেদ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক শ. ই. সরকার জবলু, হিউম্যান এইড ইন্টারন্যাশনালের মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি ও মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ চৌধুরী সুমন, হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটির মৌলভীবাজার জেলা সহ-সভাপতি দুরুদ আহমদ ও ফাতেমা বেগম পপি, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ রুহুল আলম রনি, অর্থ সম্পাদক এমদাদ আহমদ খান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক কাজী এম এ ইউসুফ শরীফ, সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সামাদ সুমন, নির্বাহী সদস্য শেখ ফয়েজ আলী, মামুনুর রহমান চৌধুরী মসু, অন্নি দেব, মিলি দেব, পর্ণা দেব, রহিমা আক্তার শাকী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বৃক্ষরোপণ শেষে শমসেরনগর রোডস্থ হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটির কার্যালয়ে সোসাইটির সভাপতি ছালেহ আহমদ সেলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় মানবাধিকার প্রসঙ্গে আলোচনা উপস্থাপন করে বক্তারা বলেন- আজ পর্যন্ত কখনও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গৃহিত কর্মসূচী সম্পর্কে স্থানীয় কোন মানবাধিকার সংগঠন বা অন্য কোন সংগঠন ও গণমাধ্যমকে অবহিত করা হয়নি এবং হয়না। এছাড়া এবার হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটির র্যালী উদ্বোধন করে দেননি জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম। জেলা প্রশাসকের এ ভূমিকাকে মানবাধিকার লংঘন উল্লেখ করে বক্তারা জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসকের এহেন ভূমিকার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং এ অবস্থা পরিবর্তনের দাবী জানান। উল্লেখ্য-১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গ্রহণ করে। এ ঘোষণার মাধ্যমে স্বীকৃত হয় মানবাধিকার সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গ্রহণের এ দিনটিই প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।