জেলার মুরাদনগরের ভুবনঘর মর্ডান এগ্রোফার্মের কৃষক সামসুল হক সাম্মাম চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন। চার বিঘা পতিত জমিতে সাম্মাম চাষ করে চার টন ফল উৎপাদন করেছেন তিনি।
সাম্মাম সুস্বাদু ও মিষ্টি জাতের ফল। এরই মধ্যে সাম্মাম এলাকার মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তার জমিতে দুই জাতের সাম্মাম রয়েছে। এর মধ্যে এক জাতের সাম্মামের বাইরের অংশ দেখতে খিরার মত খসখসে আর ভেতরে পেপের কালার। আরেক জাত হচ্ছে বাইরে সবুজ ভিতরে সাদা। তবে দুটি ফলই খেতে মিষ্টি, রসালো ও সুস্বাদু ।
কৃষক সামসুল হক বাসসকে বলেন, এগ্রোফার্মের চার বিঘা জমিতে সাম্মাম চাষ করেছি। সাম্মাম ফলের তেমন একটা রোগবালাই নেই। গাছে সামান্য সার ও কীটনাশক দিতে হয়। দেড় মাসের মধ্যেই গাছে ফল আসতে শুরু করে। তিন মাসের মধ্যেই পরিপক্ব হয় সাম্মাম। একেকটি সাম্মাম ফল দুই থেকে আড়াই কেজি ওজনের হয়। প্রতি কেজি সাম্মাম খুচরা দুই থেকে আড়াইশ টাকায় বিক্রি করি। কৃষি কাজে আমার কলেজ পড়ুয়া ছেলে আমাকে সহায়তা করেন। তাই কাজের শ্রমিক কম লাগে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাইন উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, সামসুল হক একজন আদর্শ কৃষক। তিনি সব সময় নতুন নতুন কৃষিপণ্য চাষে আগ্রহী। তাকে সাম্মাম চাষে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে আসছি। তার দেখাদেখি সাম্মাম চাষে আশপাশের অনেকেই উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।