সব সময় থাকে লাইন। শীতের পিঠা পাওয়ার জন্য থাকতে হয় অপেক্ষায়। বিশেষ করে চালের গুঁড়া, গুড় আর নারকেল দিয়ে বানানো ভাপা পিঠার স্বাদ নিতে দূরদূরান্ত থেকে প্রতিদিন নানা বয়সী মানুষ ভিড় জমায় শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কাজিরহাট বাসস্টানে আবুল হোসেনের দোকানে। বিকেল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে পিঠা বিক্রি। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার কাজিরহাট বাসস্টানের সড়কের পাশে আবুল হোসেনের শীতের পিঠার দোকান। প্রায় ১৫ (পনেরো) বছর ধরে এখানে শীতের মৌসুমে ভাপা পিঠা বিক্রি করেন তিনি। পিঠা তৈরির জন্য চন্দ্রাকারে দুইটি চুলায় পাতিল বসানো। চুলাগুলোতে আগুন জ্বলছে আর পানি ভর্তি পাতিলের মুখে বসানো মাটির সাজের ফুটো দিয়ে বাষ্পের তাপে ভাপা পিঠা তৈরি হচ্ছে। পিঠা খাওয়ার জন্য আসা মোঃ দেলোয়ার শেখ বলেন, সন্ধ্যার পর পিঠা পেতে অনেক সময় দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে হয়। দূর-দুরন্ত থেকে মানুষ এখানে ভাপা পিঠা খেতে আসে। পিঠা খেতে আসা আকবর আলী খান বলেন, আবুল হোসেনের দোকানে আমি প্রতিদিন পিঠা খাই। অনক স্বাদের পিঠা। খেতে আমার কাছে ভালোই লাগে। স্থানীয় মোহাম্মদ আলী ও শাহালোম জানান, আবুল হোসেনের দোকানে পিঠা খাওয়ার জন্য অনেক ভীড় থাকে। তবুও আমরা অপেক্ষা করে ভাপা পিঠা খাই। এ এক অন্যরকম আনন্দ। আবুল হোসেন বলেন, প্রায় ১৫ (পনেরো) বছর আগে শীতের পিঠা বিক্রি শুরু করেন। আস্তে আস্তে তিনি সফলতার মুখ দেখেন। একটি নর্মাল পিঠা ১০ টাকা ও স্পেশাল পিঠা ২০ টাকা করে বিক্রি করেন। প্রতিদিন তাঁর ৫ থেকে ৬ হাজার টাকার পিঠা বিক্রি হয়। গড়ে প্রতিদিন দুই হাজার টাকার মতো তাঁর লাভ থাকে। এ টাকা দিয়ে সংসার চালিয়ে ছেলে–মেয়েদের পড়ালেখা শেখাচ্ছেন। তিনি এখন পরিবার নিয়ে ভালো আছেন। পরিবারে সচ্ছলতা ফিরেছে।