শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
দেশীয় সাংস্কৃতিক সংসদের কালচারাল লিডারশিপ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত বেরোবিতে চাকরি হল শহীদ আবু সাঈদের বোনের সাহিত্যে নোবেল জিতলেন দক্ষিণ কোরিয়ার লেখক হান কাং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাবের হোসেন কীভাবে জামিনে মুক্তি পেলেন, প্রশ্ন রিজভীর এবি পার্টির নতুন আহ্বায়ক আব্দুল ওহাব (মিনার) দেশে বাবা-মায়ের সঙ্গে পূজার আনন্দ উপভোগ করা অন্যরকম ব্যাপার: মন্দিরা চক্রবর্তী টানা ছুটিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র যানজট গণতন্ত্র মানে মানুষের স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা : তারেক রহমান ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা’ মামলায় দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে যোগ দিয়েছে বলিভিয়া বিএনপির সভামঞ্চে সবাই যেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী!

২১ থেকে ২৩ ডিসেম্বর গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ এবং ২৪ ডিসেম্বর অবরোধ

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৩
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত গতকাল সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত আমীরে জামায়াত, সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। এতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল, সাবেক এমপি এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ, কেন্দ্রীয় প্রচার-মিডিয়া সেক্রেটারি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ,কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্দুর রহমান মূসা।

‘প্রহসনের নির্বাচন’ বর্জনের আহবান অধ্যাপক মুজিবের
প্রহসনের নির্বাচন বর্জন, ভোটদান থেকে বিরত থাকা এবং ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে গণআন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে গতকাল ২১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি এ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ-এর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি জনাব হামিদুর রহমান আযাদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জনাব নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমীর জনাব আবদুর রহমান মুসা প্রমুখ।
এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন,আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ লগি-বৈঠ দিয়ে সারাদেশে মানুষ হত্যা ও মানুষের ঘর-বাড়িতে হামলা চালিয়ে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল। আওয়ামী লীগের সৃষ্ট নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। এ সরকারের নিরাপদ প্রস্থানের লক্ষ্যে ২০০৮ সালে সমঝোতার নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দখল করে। তারা ক্ষমতা গ্রহণ করেই বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালায়। দেশকে রাজনৈতিক নেতৃত্ব শূন্য করার হীন উদ্দেশ্যে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে প্রহসনের বিচারের ব্যবস্থা করে দলীয় লোকদের দ্বারা তদন্ত এবং মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ায়ে সাজানো মামলায় জামায়াতে ইসলামীর আমীর ও সাবেক মন্ত্রী মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক মন্ত্রী জনাব আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল জনাব মোঃ কামারুজ্জামান ও আবদুল কাদের মোল্লা এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য জনাব মীর কাসেম আলীকে ফাঁসির দন্ড প্রদান এবং তা কার্যকর করে। বিশ্ব বরেণ্য মুফাসসিরে কুরআন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়। তাঁর চিকিৎসায় সরকারের অবহেলার কারণে ২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট তিনি মৃত্যু বরণ করেন। সরকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে সাজা প্রদান করে রাজনীতি করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
বিনা ভোটের অবৈধ সরকার বহু রক্তের বিনিময়ে অর্জিত কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার বন্দোবস্ত করে। আওয়ামী লীগের অধীনে সংসদ নির্বাচন এবং সিটি কর্পোরেশন, উপজেলা ও পৌরসভা নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়নি।
বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীগণ যাতে জনগণের নেতৃত্ব দিতে না পারেন, সেজন্য বেঁছে বেঁছে তাদেরকে হত্যা করা হয়। গত ১৫ বছর যাবত তারা হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তা, আইনজীবী ও ছাত্রনেতাদেরকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গুম করে দিয়েছে। তাদের জুলুম, নির্যাতন, নিপীড়ন, দুঃশাসন ও দুর্নীতি দেশকে এক নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতিতে নিমজ্জিত করেছে। লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা তারা বিদেশে পাচার করেছে। স্বাভাবিকভাবে নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলে, তাদের পক্ষে কোনোভাবে নির্বাচিত হওয়া সম্ভব নয়। তাই তারা বিরোধীদল যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে, সেজন্য পরিকল্পিত চেষ্টা চালায়। সার্চ কমিটির মাধ্যমে নিজেদের লোকদের নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগদান, প্রশাসনকে দলীয় ক্যাডারদের দ্বারা সাজিয়ে এবং নিম্ন আদালতে অনুগত ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার নীল নকশা তৈরি করে। দেশের প্রায় সকল রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, লেখক, বুদ্ধিজীবী, কলামিস্ট, সাংবাদিক, আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সংসদ ভেঙে দিয়ে এবং পদত্যাগ করে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য দাবি পেশ করে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছেন। বাংলাদেশের বন্ধু দেশসমূহ ও গণতান্ত্রিক বিশ্ব বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের নির্বাচন নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করার জন্য তাদের অভিমত প্রকাশ করেছে। সরকার সকল মহলের দাবি ও মতকে অগ্রাহ্য করে আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে তফসিল ঘোষণা করে প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন করেছে।
এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন,বিরোধীদল যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে, সেজন্য সরকার শুরু থেকেই পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করে আসছে। সরকার বিরোধীদলকে মিছিল-মিটিং, সভা-সমাবেশ ও রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে বাধা সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে গত ২৮ অক্টোবর অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বিরোধীদল ঘোষিত সমাবেশের ওপর হামলা করে। জামায়াতের ঘোষিত সমাবেশ স্থলে জনগণ সমবেত হলে তাদের উপর গুলি চালায় ও লাঠিচার্জ করে। জামায়াতকে স্থান পরিবর্তন করে সমাবেশ করতে বাধ্য করে। তারা বিএনপির সমাবেশ পণ্ড করে দেয় এবং পরে বিএনপির মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করে। তারা নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ তৈরির পরিবর্তে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করে। নির্বাচনের আগে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেফতার করে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে আটক রেখে নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথ রুদ্ধ করে দিয়েছে। প্রতিপক্ষ দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করে নিজেদের ছক অনুযায়ী রায় ঘোষণা করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিচ্ছে-যাতে বিরোধীদলের নেতাকর্মীগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে। ১৯ ডিসেম্বর নাটোর জেলা জামায়াতের ১৩ জন নেতাকর্মীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
গত ৩ সপ্তাহে জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রায় সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়েছে। মাত্র ৬ কার্যদিবসে চার্জ গঠন, সাক্ষ্য গ্রহণ, সাফাই সাক্ষ্য প্রদান, যুক্তিতর্ক এবং রায় ঘোষণার মাধ্যমে আদালত নজিরবিহীন ঘটনার অবতারণা করেছে। আওয়ামী লীগের একজন মন্ত্রী বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে তাদের নির্দেশেই যে, বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, তা অকপটে স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এক রাতের মধ্যেই বিরোধীদলের নেতাকর্মীদেরকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার শর্তে মুক্তি দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। বিরোধীদলের ২০ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা ছাড়া সরকারের আর কোনো উপায় ছিল না।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘তারা সুচিন্তিতভাবেই এসব কাজ করেছেন।’ সরকারি দলের নেতার এই বক্তব্য থেকে আদালতের উপর সরকারের নগ্ন হস্তক্ষেপের চিত্র ফুটে উঠেছে।’
জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর জনাব সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য জনাব শাহজাহান চৌধুরীসহ প্রায় সাড়ে ৩ হাজার নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটক রেখেছে। জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত সরকারের দায়ের করা মামলার সংখ্যা ১৪,৮৪৯ টি।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার উচ্চ আদলত থেকে জামিন পাওয়া সত্ত্বেও তাকে মুক্তি না দিয়ে নতুন নতুন মামলা দিয়ে কারাগারে আটক রেখেছে। মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান সকল মামলায় জামিন পাওয়া সত্ত্বেও তাকে মুক্তি না দিয়ে নতুন নতুন মামলা দিয়ে কারাগারে আটক রেখেছে। এমনকি রফিকুল ইসলাম খান কারাগারে আটক থাকাবস্থায় বাইরের একটি মামলায় তাকে আসামী করে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটক রেখেছে। সংবিধানে বর্ণিত ৩৫ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করে মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে তার সাথে অমানবিক, নিষ্ঠুর ও সংবিধান বিরোধী আচরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন,সরকার ২০১৪ সালে বিনাভোটে ক্ষমতা দখল করে। ১৫৪ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাগণ এমপি নির্বাচিত হন। অন্যান্য ভোটকেন্দ্রসমূহে ভোটারগণ ভোট দিতে যাননি। এ পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছিলেন, এটি নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। শীঘ্রই আরেকটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু ক্ষমতার মোহে তিনি তা ভুলে যান। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পূর্বে তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারে। তার কথায় বিশ্বাস রেখে রাজনৈতিক দলসমূহ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। আওয়ামী লীগ ভোটের আগের রাতে দলীয় ক্যাডার ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে নিজ দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী করে। এটি মধ্য রাতের নির্বাচন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। বারবার নির্বাচনের নামে প্রহসন করে ক্ষমতা দখলের নেশায় আবারো পুরাতন স্টাইলে সাজানো নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সরকার। তারা পরিকল্পিতভাবে নিজেদের দলীয় লোকদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়ে ডামি প্রার্থী প্রদান করে নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করার এক আজব প্রহসনের আয়োজন করেছে। গত ৩টি নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে এবং মানুষের ভোটাধিকার হরণ ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে দাফন করার মাধ্যমে সরকার বাংলাদেশকে চূড়ান্তভাবে বাকশালী রাষ্ট্রে পরিণত করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ছিনতাইকারীরা যেভাবে মানুষের অর্থসম্পদ লুট করে নিজেদের মধ্যে তা ভাগ-বাটোয়ারা করে নেয়, একই কায়দায় আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটাধিকার ছিনতাই করে এবং ভোট প্রয়োগের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে নিজেদের মধ্যে জাতীয় সংসদের আসন ভাগাভাগি করে নেয়ার ব্যবস্থা করেছে। এই ভোট ছিনতাইকারীদের হাত থেকে দেশ ও জাতিকে উদ্ধার করতে হবে।
এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন,বিরোধীদল জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে যাচ্ছে। বিরোধীদল ঘোষিত শান্তিপূর্ণ অবরোধ, হরতাল কর্মসূচি বানচাল করার জন্য রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশ ও বিজিবি ব্যবহার করা হচ্ছে। বিরোধীদলের নেতাকর্মীগণ চলাফেরা, বাড়িতে অবস্থান, এমনকি জানাযা ও মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারছেন না। সরকারের প্রতিবন্ধকতা ও জুলুম নির্যাতন সত্ত্বেও জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সফলতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সরকার জনগণের মতামতকে তোয়াক্কা না করে প্রহসনের নির্বাচনের যে আয়োজন করেছে, জনগণ তা কোনো অবস্থাতেই মেনে নিবে না। দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আমাদের আহ্বান হচ্ছেঃ-প্রহসনের ও ভাগাভাগির নির্বাচনের বিরুদ্ধে নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।স্বার্থান্ধ আওয়ামী লীগ ও প্রশাসনের অবৈধ চাপ, হুমকি, ভয়-ভীতি অগ্রাহ্য করে নিজে ভোটদান থেকে বিরত থাকুন ও অপরকে বিরত রাখুন। ভোটের যে কোনো কাজে সরকারকে সহযোগিতা করা থেকে বিরত থাকুনজালেম, স্বৈরাচারী, ভোটাধিকার হরণকারী ও গণতন্ত্র ধ্বংসকারী তাঁবেদার সরকারের সাথে সকল ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করুন।
আমরা সরকারের প্রহসনের নির্বাচন বর্জন করার লক্ষ্যে এবং কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের উদ্দেশ্যে ২০ ডিসেম্বর কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। আমাদের ঘোষিত কর্মসূচি হচ্ছে: ২১ থেকে ২৩ ডিসেম্বর দেশব্যাপী গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ এবং ২৪ ডিসেম্বর দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক অবরোধ এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রহসনের নির্বাচন বর্জন করে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশ ও জাতিকে উদ্ধারের জন্য আমি দেশবাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।”




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com