সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ১০:০৬ অপরাহ্ন

৪০ দিনের কাজ, ৩৪ দিনেও টাকা পাননি তাড়াশের শ্রমিকরা

গোলাম মোস্তফা বিশেষ প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

সিরাজগঞ্জের তাড়াশের আট ইউনিয়নে চলমান ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে “অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান” কর্মসূচির আওতায় ১ম পর্যায়ের প্রকল্প বাস্তবায়নে ৪০ দিনের কাজের ৩৪ দিন পেড়িয়ে গেছে (২৬ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার। কিন্তু কোনো টাকা পাননি অতি দরিদ্র শ্রমিকরা। বিশেষ করে, নারী শ্রমিকরা কাজের মজুরি না পেয়ে খেয়ে না খেয়ে বহু কষ্টে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, তাড়াশের আট ইউনিয়নে ৩ কোটি ১১ লাখ ৬৮ হাজার টাকা ব্যয়ে ২৪ টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এসব প্রকল্পে কাজ করছেন ৯৭৪ জন শ্রমিক। এদের অধিকাংশই নারী শ্রমিক। সরেজমিনে গতকাল মঙ্গলবার তাড়াশ সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে দেখা গেছে, বোয়ালিয়া কাঁচা সড়কে মাটি ফেলার কাজ করছেন এক দল নারী শ্রমিক। সড়কের বেশটা দূরের একটি গর্ত থেকে মাটি কেটে সড়কে ফেলছেন তারা। এ দলের সালমা খাতুন নামে এক জন শ্রমিক বলেন, আমার প্রতিদিন ওষুধ খেতে হয়। কিন্তু কাজের মজুরি না পেয়ে ওষুধ খেতে পারছিনা। দিনকে দিন অসুখ বাড়ছে। ছাবিহা নামে আরেক জন শ্রমিক বলেন, আমার ডায়াবেটিস। টাকার অভাবে চিকিৎসা নিতে পারছিনা। সমস্ত শরীরে ঘা বেড়িয়ে পড়েছে। ফাতেমা খাতুন বলেন, এক দিনের ভাত খাওয়ার চাল আমার ঘরে নেই। যাদের সঙ্গে কাজ করছি একটু করে চাল হাওলাত দেন। তাই দিয়ে খাবার জোটে। এ মাটি কাটা দলের সর্দার মমতা খাতুন বলেন, ২১ জন নারী শ্রমিক কাজ করছি এক দলে। ১৬ই ডিসেম্বর ও বড় দিনের ছুটি বাদে ৩৪ দিন কাজ করা হয়ে গেছে। কিন্তু মজুরি পাইনি। আমাদের প্রায় সবার সংসারের অবস্থা দিন আনি দিন খাই। জানা গেছে, অন্যান্য ইউনিয়নের প্রল্পের শ্রমিকরাও ৪০ দিনের কাজের ৩৪ দিনের টাকা না পেয়ে বহু কষ্টে জীবনযাপন করছেন। তালম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক বলেন, কোনো কোনো ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিল জমা দিতে দিরে করে ফেলেছেন। এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. ফরহাদ লতিফ বলেন, সমস্ত প্রকল্পের বিল জমা দেওয়া হয়েছে। শিগ্গিরই শ্রমিকদের মজুরির টাকা পাওয়া যাবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com