সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৬ অপরাহ্ন

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদন বন্ধ

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় সোমবার, ১ জানুয়ারী, ২০২৪

বর্তমান ফেইসে উত্তোলনযোগ্য কয়লার মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে উৎপাদন বন্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। গত শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত থেকে কয়লার উৎপাদন বন্ধ করা হয় বলে জানিয়েছেন খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম সরকার। পরবর্তী উৎপাদন শুরু করতে প্রায় দুই থেকে আড়াই মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া উল্লেখ করে সাইফুল ইসলাম সরকার জানান, ‘পুরাতন ফেইসে কয়লার মজুত শেষ হয়ে গেলে, সেটি বন্ধ করে সেখান থেকে যন্ত্রপাতি তুলে নতুন ফেইস তৈরি করে কয়লা উত্তোলন করা হয়। এই কারণেই কয়লার উৎপাদন আপাতত বন্ধ রয়েছে। খনির নিয়মিত কাজ ফেইস তৈরি ও যন্ত্রপাতি স্থাপন করে সেই ফেইস থেকে কয়লা উত্তোলন। নতুন যে ফেইস তৈরির কাজ চলছে, তা আগামী মার্চ মাসের প্রথমের দিকেই চালু করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে উৎপাদন বন্ধ হলেও এর প্রভাব তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে পড়বে না। বর্তমানে মজুতকৃত কয়লা দিয়ে অনায়াসেই কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত থাকবে।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের গত ১২ অক্টোবর খনির ১৪১২ ফেইস থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। ধরা হয়েছিল এই ফেইসে কয়লার মজুত ২ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু এই ফেইস থেকে কয়লা উত্তোলন করা হয় ২ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন। এখন আর এই ফেইসে উত্তোলনযোগ্য কয়লার মজুত নাই। তাই শুক্রবার রাতে ফেইসটি বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং বন্ধ হয়ে যায় খনির কয়লা উৎপাদন।
বর্তমানে খনির ১২০৯ নম্বর নতুন এই ফেইস চালু করার প্রক্রিয়া করছে কর্তৃপক্ষ। এই ফেইস থেকে ৩ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুত রয়েছে। পুরাতন ফেইসের যন্ত্রপাতি দিয়ে নতুন এই ফেইসটি তৈরি করা হবে। এতে করে দুই থেকে আড়াই মাস সময় লাগবে। ২০২৪ সালের মার্চ মাসের প্রথমের দিকেই এই ফেইস থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করা হবে বলে ধারণা করছে কর্তৃপক্ষ।
সূত্রটি জানায়, প্রতিবারই কয়লা খনি থেকে যেসব ফেইস থেকে কয়লা উত্তোলন করা হয় সেসবের উত্তোলনযোগ্য মজুত শেষ হলে সেটি বন্ধ করে সেখান থেকে যন্ত্রপাতি তুলে নতুন ফেইস তৈরির কার্যক্রম শুরু করা হয়। বর্তমানে যে ফেইসটি বন্ধ করা হচ্ছে সেটি চালু করা হয়েছিল চলতি বছরের ১২ অক্টোবর।
এদিকে কয়লা খনি থেকে উত্তোলন বন্ধ হলেও এতে করে কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কোনোধরনের প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন খনির এমডি। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কোল্ড ইয়ার্ডে ১ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন কয়লার মজুত রয়েছে। এই পরিমাণ কয়লা দিয়ে অনায়াসে ৩ মাস বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রাখা সম্ভব বলে জানান তিনি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com