ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের মদন দাসের ছেলে সজল দাস সংসারের অভাবের বোঝা কাঁধে নিয়ে মাসিক ৮ শত টাকা বেতনে কাজ করতো মধুগঞ্জ বাজারে পূজা জুয়েলার্সের সোনা রুপা প্রস্তুতকারক কারখানায়। হঠাৎ একদিন কাজ করা অবস্থায় ইলেকট্রিক মেশিনে সজল দাশের বাম হাতের তর্জনী আঙ্গুল কেটে পড়ে যায়। শিশু সজল দাসের জীবনের এই করুণ কাহিনী গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে তা কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান এর দৃষ্টিগোচর হয়। পরবর্তীতে তিনি খোঁজ-খবর নিয়ে শিশু শ্রমিক সজল দাস ও তার বাবা মদন দাসকে নিজ কার্যালয় ডেকে পূজা জুয়েলার্স এর স্বত্বাধিকারী ও অন্যান্যদের আর্থিক সহায়তায় প্রায় ৪০ হাজার টাকা মূল্যের একটি বকনা বাছুর উপহার হিসেবে প্রদান করে ওই পরিবারের পাশে দাঁড়ান। একই সাথে সজল দাসকে একটি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেন। সজলকে পুনরায় স্কুলে ভর্তি করার ব্যাপারে তার বাবাকে পরামর্শ দেন। এ সময় সজল দাসের লেখাপড়ার ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাসও প্রদান করেন। সেই অনুযায়ী পিতা মদন দাস তার শিশু সন্তান সজল দাসকে ছোট ভাটপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীতে ভর্তি করে দেন। সজল এখন নিয়মিত স্কুলে যাই। সজল দাসের পিতা মদন দাস বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যারের সহযোগিতায় আমার ছেলেটা আবার লেখাপড়ায় ফিরেছে। আমি স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান বলেন, শিশুশ্রম আইনত দ-নীয় অপরাধ। সজল দাসকে পুনরায় স্কুলে লেখাপড়ার সুযোগ প্রদানের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে পারায় ভালো লাগছে।