গত ৬ দিনে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোল্ড ডায়রিয়া আর নিমোউনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে প্রায় তিন শতাধিক শিশু। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডগুলোতে বেড খালি না থাকায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে ফ্লোরেও। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা জেলায় এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সরেজমিনে দেখা গেছে, রংপুর জেলাসহ আশেপাশের জেলাগুলো থেকে শত শত শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে তাদের অভিভাবকরা হাসপাতালের আউটডোরে দীর্ঘলাইন ধরে অপেক্ষা করছেন। আউটডোরে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা বলছেন, হাসপাতালে বেড সংকট থাকায় তারা গুরুতর অসুস্থ রোগী ছাড়া অন্যদের ব্যবস্থাপত্র দিয়ে ফিরিয়ে দিচ্ছেন।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. ইউনুছ আলী বলেন, শীতের কারণে শিশুরা নানান রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসছে। অনেককে আউটডোরে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে যাদের অবস্থা গুরুতর তাদের ভর্তি নেয়া হচ্ছে।
তিনি জানান, হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডগুলোতে বেডের চাইতে রোগীর সংখ্যা বেশি। গত ছয় দিনে ১৬ শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি। ডা. ইউনুছ আলী শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় শিশুদের ঘরের বাইরে প্রয়োজন ছাড়া বের না করার পরামর্শ দেন।
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতে অধিকাংশ যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। শীতে ছিন্নমুল এবং কর্মজীবী মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। গরম কাপড়ের অভাবে অনেকেই আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। সরকারিভাবে জেলায় এখন পর্যন্ত শীতার্ত মানুষদের মাঝে তেমন শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়নি। জেলা ত্রাণ অধিদফতরের কর্মকর্তা মোস্তফা সাইফুল জানান, প্রয়োজনের তুলনায় শীতবস্ত্র বিশেষ করে কম্বল বরাদ্দ কম হওয়ায় এই অবস্থা। তবে চাহিদাপত্র দিয়ে ত্রাণ অধিদফতরে চিঠি দেয়া হয়েছে।