মিয়ানমারে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করা জাতিগত সংখ্যালঘুরা আরও একটি শহর নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া দাবি করেছে। গতকাল সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, পশ্চিম মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পালেতওয়া শহর দখলে নেওয়ার কথা জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমার একাধিক ফ্রন্টে বিদ্রোহের কবলে রয়েছে। দেশটিতে জান্তা বিরোধী সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলো ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি সামরিক পোস্ট ও শহরের নিয়ন্ত্রণ দখল করেছে। মিয়ানমারে ২০২১ সালে একটি অভ্যুত্থানে সেনাবাহিনী ক্ষমতায় আসার পর সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
আরাকান আর্মির (এএ) একজন মুখপাত্র খাইন থু খা রোববার গভীর রাতে বলেছেন, তারা কালাদান নদীর তীরে অবস্থিত বন্দর শহর পালেতওয়া দখল করেছে, যা প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে বাণিজ্যের চাবিকাঠি।
এক বিবৃতিতে এএ বলেছে, ‘সীমান্ত স্থিতিশীলতার বিষয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে আমরা সর্বোত্তমভাবে সহযোগিতা করবো।’ অঞ্চলটির প্রশাসনিক ও আইন প্রয়োগকারীর দায়িত্ব নেবে আরাকান আর্মি । এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রয়টার্সের অনুরোধে জান্তার এক মুখপাত্র সাড়া দেননি। রয়টার্স স্বাধীনভাবে এএ’র দাবি যাচাই করতে পারেনি। জান্তা সরকার এর আগে বিদ্রোহী জোট থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের হাতে চীন সীমান্তবর্তী উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যের লাউকাই শহরের নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর, এবার পশ্চিমে পালেতওয়া শহরের নিয়ন্ত্রণ হারালো। থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স জোটে তিনটি গ্রুপ রয়েছে, যাদের ব্যাপক লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে- মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি, তায়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি এবং আরাকান আর্মি।
গত সপ্তাহে জান্তা সরকার জোটের অংশীদার তায়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির সাথে চীন সীমান্তবর্তী অঞ্চলে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল। চীনা কর্মকর্তাদের সহায়তায় বিদ্রোহীদের সঙ্গে এ আলোচনা চীনের কুনমিং শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তবে রোববার বিদ্রোহী জোট বলেছে, জান্তা বাহিনী যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। শান রাজ্যের বেশ কয়েকটি শহরে হামলা শুরু করেছে।