ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের হাতে বিজিবি সদস্য হত্যাকে বিছিন্ন ঘটনা উল্লেখ করায় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান। তিনি বলেছেন, ‘সীমান্তে বিএসএফ নির্বিচারে বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যা বন্ধে বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকা রহস্যজনক। ভারত তোষণ ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে সরকার প্রতিবাদ করতেও পারছে না। বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচার করতে পারলে বিজিবি সদস্যকে প্রাণ দিতে হতো না।’
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সীমান্তে বিএসএফের হাতে বিজিবি সদস্য হত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সরকার ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করে বিজিবি হত্যার প্রতিবাদ করতে ব্যর্থ হয়ে বরং পররাষ্টমন্ত্রীর পরিবর্তে নৌপ্রতিমন্ত্রীকে দিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনারের সাথে সাক্ষাৎ- নতজানু পররাষ্ট্রনীতির নতুন দৃষ্টান্ত প্রতিষ্ঠা করেছে। ফেলানীকে হত্যা করে বিএসএফ কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখে যে নির্মম বর্বতা ভারত স্থাপন করেছে তা বিশ্বে নজিরবিহীন সীমান্ত আগ্রাসনের চরম দৃষ্টান্ত। বিজিবি সদস্য হত্যার মধ্য দিয়ে আবারো প্রমাণিত হলো যে বিএসএফ সীমান্তে নির্বিচারে নিরীহ বাংলাদেশী নাগরিকদের পাখির মতো হত্যার মহোৎসব চালিয়ে আসছে। ভারত আর্ন্তজাতিক রীতি-নীতি ও কুটনৈতিক শিষ্টাচার মানছে না, তাই সীমান্ত হত্যা বন্ধে জাতিসঙ্ঘের হস্তক্ষেপ একান্ত প্রয়োজন।’
লেবার পার্টির ঢাকা মহানগর সভাপতি এস এম ইউসুফের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান হিন্দুরত্ম রামকৃষ্ণ সাহা, অ্যাডভোকেট জোহরা খাতুন, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম-মহাসচিব আবদুর রহমান খোকন, মুফতি তরিকুল ইসলাম সাদী, হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক মনির হোসেন খান, মহিলা সম্পাদিকা নাসিমা নাজনিন সরকার, মহানগর নেতা এনামুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদশা মিয়া, রবিউল ইসলাম, ছাত্রমিশন সভাপতি সৈয়দ মো: মিলন ও যুগ্ম সম্পাদক মো: লিটন খান প্রমুখ। মিছিলটি পুরানা পল্টন সড়ক হতে শুরু হয়ে বিজয়নগর, পল্টন মোড়, হাউজবিল্ডিং, দৈনিক বাংলা মোড়, বায়তুল মোকাররম, বাসস, সচিবালয়, প্রেসক্লাব হয়ে তোপখানা রোডে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয়।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি