ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মার্কেটিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী আদ্রিতা বিনতে মোশারফ আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার বাবা ঢাবির ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোশারফ হোসেন। গতকাল রোববার (৩১ মার্চ) ভোরে দক্ষিণ ফুলার রোডের ১৯ নম্বর ভবনের তৃতীয় তলার বাসা থেকে ওই শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান। প্রক্টর মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে মোশারফ স্যার তার মেয়ে আদ্রিতাকে ডাকলে সে তখন সাড়া দেয়নি। স্যার ভেবেছেন হয়তো দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েছে। পরে তাকে আর ডিস্টার্ব করেননি স্যার। এরপর সেহ্রীর সময় যখন ডাকতে গিয়েছেন তখনও ওর রুমের দরজা বন্ধ পাওয়া যায়। এতে সন্দেহ হলে দরজা ধাক্কা দিয়ে রুমের ভেতরে ঢুকে তাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়। আনুমানিক ভোর ৪টা থেকে সাড়ে ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।’
অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আমাদেরকে জানানো হয়েছে। পরে পুলিশে খবর দিলে তারা আদ্রিতাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কী কারণে ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন, সেই বিষয়ে পরিবার তেমন কিছুই জানাতে পারেনি। ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।’ আদ্রিতার বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার মজলিশপুর গ্রামে। বাবা অধ্যাপক ড. মোশারফ হোসেনের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারে থাকতেন আদ্রিতা।
কী কারণে আত্মহত্যা করলেন ঢাবি ছাত্রী আদ্রিতা! রাজধানীর ফুলার রোডে ঢাবির আবাসিক কোয়ার্টারে আদ্রিতা বিনতে মোশাররফ (২১) নামে এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। গতকাল রবিবার (৩১ মার্চ) ভোরে দক্ষিণ ফুলার রোডের ১৯ নম্বর ভবনের তৃতীয় তলায় এঘটনা ঘটে। পুলিশ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিলে চিকিৎসক সকাল সাড়ে ৭টায় মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার ওসি মোস্তাজিরুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ভোরে ফুলার রোডের আবাসিক কোয়ার্টারের ওই বাসায় গিয়ে দেখা যায়, বিছানায় শায়িত অবস্থায় রয়েছে ওই শিক্ষার্থী। তখন তার পরিবারের কাছ থেকে জানা যায়, ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি আরও জানান, কি কারণে ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন সে বিষয়ে পরিবার তেমন কিছুই জানাতে পারেনি। ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে। স্বজন ও সহপাঠীরা জানান, তার বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার মজলিশপুর গ্রামে। আদ্রিতার বাবা অধ্যাপক ড. মোশাররফ হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক। বাবা-মায়ের সাথেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারে থাকতেন আদ্রিতা।