শরীরের ছাঁকনি হিসেবে কাজ করে কিডনি। শরীরে জমে থাকা বর্জ্য পদার্থ পরিষ্কার করে প্রস্রাবের সঙ্গে বের করে দেয় কিডনি। এছাড়া শরীরের গুরুত্বপূর্ণ ৩টি হরমোন নিঃসরণ করে। তবে অনিয়মিত জীবনযাপন এবং ভুল খাবারের কারণে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
শরীরের দূষিত পদার্থ বের করার পাশাপাশি, শরীরের সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফেটের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে। শরীরে পটাশিয়াম বেড়ে গেলে কিডনির কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে দেখা দেয় নানা শারীরিক সমস্যার। কিডনির ওপর চাপ বাড়তে পারে। কিডনি সুস্থ রাখতে সেইসব খাবার এড়িয়ে চলুন যাতে ২০০ মিলিগ্রামের বেশি পটাশিয়াম থাকে। কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন? কলা, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, ভাত, কিশমিশ, কমলা লেবু, কমলার জুস, ডাল, পালং শাক, আলু, টমেটো, বাদাম, মুরগির মাংস, অ্যাভোকাডো, কুমড়ো, বাদাম, আচার, মুলা, অলিভ, । এছাড়া বিভিন্ন রঙের কোমল পানীয়, টিপস, টিনজাত খাবার, ড্রাই ফুড এড়িয়ে চলুন।
অন্যদিকে কিডনি সুস্থ রাখতে কোন কোন খাবার খাবেন? আপেল, আনারস, আঙুর, ফুলকপি, বেগুন, ব্রকোলি, পাস্তা পাঁউরুটি, ডিমের সাদা অংশ, মুরগির মাংস খেতে পারেন। ১৯ বছরের বেশি বয়সী একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও নারী প্রতিদিন যথাক্রমে ৩৪০০ মিলিগ্রাম এবং ২৬০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম গ্রহণ করতে পারেন। কিন্তু কিডনির রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরে ২০০০ মিলিগ্রামের কম পটাশিয়াম গ্রহণ করতে হবে।
এ ছাড়াও বেশ কয়েকটি বিষয় মেনে চললে সুরক্ষিত থাকবে কিডনি-
১. ধূমপান করবেন না।
২. বেশি মাত্রায় মদ ও ক্যাফেইন জাতীয় কিছু পান করবেন না।
৩. রক্তচাপ ও সুগার লেভেল স্বাভাবিক রাখবেন।
৪. কোলেস্টেরল বাড়তে দেবেন না।
৫. প্রচুর পানি ও ফলের রস খান।
৬. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
৭. লবণ কম খান। সূত্র: হেলথ লাইন