ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২০ কোটি রুপি। কিন্তু তাঁর কোনো বাড়ি বা ফ্ল্যাট নেই। নেই গাড়িও। কেরালার ওয়েনাড থেকে লোকসভার প্রার্থী রাহুল গতকাল বুধবার মনোনয়নপত্র পেশের সময় হলফনামায় নিজের সম্পত্তির এই হিসাব দিয়েছেন। হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, রাহুলের অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৯ কোটি ২৪ লাখ রুপি ও স্থাবর সম্পত্তি ১১ কোটি ১৫ লাখ। হাতে নগদ আছে মাত্র ৫৫ হাজার রুপি। নগদ ছাড়া অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে ব্যাংকে জমা আছে ২৬ লাখ ২৫ হাজার রুপি, ৪ কোটি ৩৩ লাখ রুপির বন্ড ও শেয়ার। আর আছে ৩ কোটি ৮১ লাখ রুপির মিউচুয়াল ফান্ড, ১৫ লাখ ২১ হাজার রুপির সোনার বন্ড এবং ৪ লাখ ২০ হাজার রুপির গয়না।
রাহুল গান্ধীর দেনার মোট পরিমাণ ৪৯ লাখ ৭৯ হাজার ১৮৪ রুপি। ২০১৯ সালে তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৫ কোটি ৮৯ লাখ।
রাহুলের নিজস্ব কোনো বাড়ি নেই। তবে বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে যৌথ মালিকানায় দিল্লির মেহরৌলিতে তাঁর কৃষিজমি আছে। ওই জমি উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া। দিল্লির অদূরে হরিয়ানার গুরুগ্রামে (সাবেক গুরগাঁও) তাঁর একটি অফিস রয়েছে। বর্তমানে সেটির বাজারমূল্য ৯ কোটি রুপির মতো।
তাঁর বিরুদ্ধে যেসব মামলা চলছে, রাহুল তারও পূর্ণাঙ্গ তালিকা হলফনামায় পেশ করেছেন। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা। বিজেপি নেতাদের দায়ের করা বিভিন্ন মানহানির মামলার উল্লেখও তিনি করেছেন। আর আছে যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের রক্ষা আইনে (পকসো) করা একটি মামলা। ওই মামলায় অভিযোগ, ধর্ষণের শিকার একজনের পরিবারের সদস্যদের পরিচয় তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিয়েছিলেন। রাহুল বলেছেন, দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এফআইআরটি মুখবন্ধ খামে পেশ করা হয়েছিল। কাজেই তিনি তাঁর চরিত্র জানেন না। এফআইআরে তিনি অভিযুক্ত কি না, তা–ও তাঁর জানা নেই। রাহুল বলেছেন, এটি সত্ত্বেও তিনি বিষয়টির অবতারণা করেছেন, যাতে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো কিছু গোপন করার অভিযোগ না ওঠে।