জিতেও শেষ রক্ষা হলো না লিভারপুলের। প্রথম লেগে বড় হারের প্রায়শ্চিত্ত করতে ব্যর্থ ইংলিশ জায়ান্টরা। ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় অলরেডদের। লিভারপুলকে আক্ষেপে পুড়িয়ে সেমিফাইনালে আটলান্টা। কাজটা বেশ কঠিনই ছিল লিভারপুলের। প্রথম লেগে আটলান্টার কাছে ঘরের মাঠে ৩-০ ব্যবধানে হেরে গিয়েছিল তারা। টিকে থাকতে হলে তাই ফিরতি লেগে বৃহস্পতিবার অবিশ্বাস্য কিছুই করতে হতো যুর্গেন ক্লপের শিষ্যদের। তবে আশা জাগিয়েও ১ গোলের বেশি শোধ দেয়া হলো না। ব্হৃস্পতিবার শেষ আটের দ্বিতীয় লেগের লড়াইয়ে আটলান্টার ঘরের মাঠে খেলতে নামে লিভারপুল। মোহাম্মদ সালাহর একমাত্র গোলে ম্যাচটা ১-০ ব্যবধানে জেতে সফরকারীরা। তবে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ ব্যবধানে হেরে ইউরোপা লিগ থেকে বিদায় নেয় ক্লপ বাহিনী। অবশ্য শুরুটা দারুণ ছিল লিভারপুলের। আশা জাগিয়েছিল ঘুরে দাঁড়ানোর। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে আলেক্সান্ডার আর্নল্ডের ক্রস গিয়ে লাগে বক্সে থাকা আতালান্তার মাতেও রুগেরির হাতে। ভিআর চেকে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পটকিক থেকে দলকে এগিয়ে দেন সালাহ।
এরপর পুরো ম্যাচে আধিপত্য ধরে রেখে খেলে লিভারপুল। ৭০ শতাংশের বেশি সময় বল দখলে রাখে অলরেডরা। গোলের জন্য ১০টি শটও নেয় তারা। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও জালের দেখা পায়নি। আর ভাঙা হয়নি আটলান্টার জমাট রক্ষণ। ফিরতি লেগে হেরেও ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালের টিকেট কাটে আটলান্টা। ৩৫ বছর পর দ্বিতীয়বারের মতো এমন সাফল্য পেল দলটা। শেষবার ১৯৮৭-৮৮ মৌসুমে সেমিফাইনালে খেলেছিল তারা। এদিকে একই দিনের অন্য ম্যাচে বিদায় ঘণ্টা বেজেছে এসি মিলানের। ১০ জনের রোমাকে পরাস্ত করতে পারেনি ইতালিয়ান জায়ান্টরা। শেষ আটের লড়াইয়ে ২-১ ব্যবধানে হেরেছে মিলান। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ গোলের জয় রোমার। প্রথম লেগে ১-০ গোলে হারলেও দ্বিতীয় লেগে বেশ ভালোই সুযোগ ছিল এসি মিলানের। বিশেষ করে ৩১তম মিনিটে জেকি সেলিক লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে ১০ জনের দলে পরিণত হয় রোমা। যদিও তারা এর আগেই গোলের দেখা পেয়ে যায়, যা করার করে ফেলে এই সময়েই।
ম্যাচের ১২তম মিনিটে জিয়ানলুকা মানচিনি আর ২২তম মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন পাওলো দিবালা। রোমা লিড নেয় ৩-০ গোলে। তবে শেষ দিকে মিলানের হয়ে ম্যাথু গাবিয়া একটা গোল পরিশোধ দেয়। তবে হার এড়ানোর জন্য তা যথেষ্ট হয়নি।