অবিশ্বাস্য কীর্তি গড়লো পাঞ্জাব। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে যা কেউ পারেনি এর আগে, তাই করে দেখাল তারা। রেকর্ডের বাঁধ ভেঙে ২৬২ রানের লক্ষ্য পাড়ি দিয়েছে দলটা। তাতে পাহাড়সম পুঁজি নিয়েও শেষ রক্ষা হলো না কলকাতার। ঘরের মাঠে হেরে গেছে তারা। এবারের আইপিএল যেন রেকর্ড ভাঙা-গড়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। যেখানে এবার নাম লেখালো পাঞ্জাব। শুক্রবার ইডেন গার্ডেনে কলকাতার করা ৬ উইকেটে ২৬১ রানের লক্ষ্য ১৮.৪ ওভারেই পাড়ি দেয় পাঞ্জাব। জয় তুলে নেয় ৮ উইকেটে। যা স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। শুধু তাই নয়, এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ৪২ ছক্কাও দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। দেখেছে এক ম্যাচে দুই দলের সম্মিলিত তৃতীয় সর্বোচ্চ ৫২৩ রান। তাছাড়া আইপিএল ইতিহাসে প্রথমবার দুই দলের ৪ ওপেনারই প াশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলেছেন আজ। আইপিএলে এখন পর্যন্ত কোনো দল ২৫০ বা এর চেয়ে বেশি রান তুলেছে ৯ বার। যার ৫ বারই হলো গত ১০ দিনে! তবে এর আগে আড়াই শ পেরোনো কোনো ম্যাচে হারেনি আগে ব্যাট করা কোনো দল। আজ সেই ইতিহাসটাই বদলে দিল পাঞ্জাব কিংস। বদলে দিয়েছেন জনি বেয়ারেস্টো। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লে’র ছয় ওভারেই ৯৩ রান তোলে পাঞ্জাব। পাওয়ার প্লে’র একদম শেষ বলে রানআউট হন ২০ বলে ৫৪ রান করা প্রভসিমরান সিং।যদিও একপাশ দিয়ে চার-ছক্কার জোরে মাত্র ৪৫ বলে সে ুরি তুলে নেন বেয়ারস্টো। ম্যাচ জিতিয়ে ফেরেন তিনি। অপরাজিত থাকেন ৪৮ বলে ১০৮ রানে।
প্রভসিমরান ছাড়াও বেয়ারেস্টোকে দারুণ সঙ্গ দেন রাইলি রুশো ও শশাঙ্ক সিং৷ রুশো ইনিংস বড় করতে পারেননি, ১৬ বলে করেন ২৬ রান। জুটিতে আসে ৩৯ বলে ৮৫ রান। শশাঙ্কে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন বেয়ারেস্টো। এই জুটিতে অবশ্য দর্শক ছিলেন শশাঙ্কা। দু’জনের ৩৪ বলে ৮৪* রানের মাঝে শশাঙ্ক একাই করেন ২৮ বলে ৬৮* রান। এর আগে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দারুণ করে কলকাতা। মাত্র ১০.২ ওভারে ১৩৮ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে দলটি। ৩২ বলে ৭১ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলে সুনিল নারিন ফিরলে ভাঙে জুটি। আরেক ওপেনার ফিলিপ সল্ট আউট হন ৩৭ বলে ৭৫ রান করে। ষোলতম ওভারে দুই শত রানের গ-ি পাড়ি দেয় কলকাতা। এরপর পরই আন্দ্রে রাসেলেত উইকেট হারায় তারা। ১২ বলে ২৪ রান করেন তিনি। তাছাড়া ভেঙ্কাটেশ আইয়ার ২৩ বলে ৩৯ ও ১০ বলে ২৮ রান করেন করেন শ্রেয়াস আইয়ার। তাতে ৬ উইকেটে ২৬১ রান তুলে কলকাতা।