ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে কটিয়াদী উপজেলায় আগামী ২১ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। গত ২১ এপ্রিল ছিলো মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন,যাচাই-বাছাই এবং প্রত্যাহার শেষে গত ২ মে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। এই নির্বাচনে মোট ১৭ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করছেন, এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ০৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ০৭ জন, এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ০৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, কটিয়াদী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা লায়ন মোহাম্মদ আলী আকবর (আনারস প্রতীক), আওয়ামী লীগ নেতা মঈনুজ্জামান অপু (ঘোড়া প্রতীক), জেলা পরিষদের সদস্য এবং আওয়ামী লীগ নেতা কামরুজ্জামান জামান (কাপ পিরিচ প্রতীক), সাবেক সাংসদ আখতারুজ্জামান রঞ্জন এর ছেলে সাব্বির জামান রনি(কই মাছ প্রতীক), এবং আওয়ামী লীগ নেতা শেখ দিলদার (মোটরসাইকেল প্রতীক)। প্রচারণার শেষভাগে এসে চরম ব্যস্ততায় দিন পার করছেন প্রার্থীরা নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দিয়ে ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে, দিচ্ছেন বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি, মাদক মুক্ত উপজেলা, সন্ত্রাস নির্মূল, শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং এলাকার অবকাঠামো উন্নয়নের কথা বলে নিজের প্রতিকে ভোট ভাগে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি মোটরসাইকেল মিছিল, ভ্রাম্যমান জারি গানের আসর,মাইকিং, পোস্টারিং এবং লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে নিজের গ্রহণযোগ্যতা প্রচারের চেষ্টা করছেন। উপজেলার প্রতিটি রাস্তা এবং উন্মুক্ত দেয়াল পোস্টারে ছেয়ে গেছে। তবে এত কিছুর পরও ভোটারদের মাঝে নির্বাচন নিয়ে তেমন আগ্রহ দেখা যায়নি। স্থানীয় বিশ্লেষক এবং রাজনীতিবিদদের মতে, অতীতের বিভিন্ন নির্বাচনে অনিয়ম, ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে না পারা বিজয়ের পর প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা ভোটারদের আগ্রহ কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। এছাড়াও বিএনপি-জামায়াত সহ সমমনা বিরোধী দলের নির্বাচন বর্জন, নির্বাচন বিরোধী প্রচার-প্রচারণা, লিফলেট বিতরণ এবং পথসভা সাধারণ ভোটারদের আগ্রহ আরো কমিয়ে দিচ্ছে। গত ১১ মে উপজেলার কটিয়াদী বাজারের মডেল থানা সংলগ্ন নদীর বাধে উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান কাঞ্চনের নেতৃত্বে উপজেলা বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠন লিফলেট বিতরণ শেষে পথসভা করে।আরিফুর রহমান কাঞ্চন বলেন ফ্যাসিস্ট সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে বিএনপি এবং জনগণ অংশগ্রহণ করবে না। অন্যদিকে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীগণ আশা করছেন ২১ মে নির্বাচনে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে আসবেন এবং যোগ্য প্রার্থীকে প্রার্থীকে নির্বাচিত করবেন।