পাট বীজ বপনের ভরা মৌসুমে ভূরুঙ্গামারীতে মিলছে না দেশী জাতের পাট বীজ। কৃষকরা বাধ্য হয়ে ভারতীয় পাট বীজ বপন করছেন। অভিযোগ রয়েছে ভারতীয় পাট বীজের অধিকাংশই নিম্নমানের। অনেক কৃষক ইতিপূর্বে এসব বীজ কিনে প্রতারিত হয়েছেন।
চলতি মৌসুমে উপজেলার দুই হাজার ২শ’ ৯০হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ২শ’ হেক্টর বেশি।
উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত গলিয়ে চোরা পথে ভারতীয় পাট বীজ ভূরুঙ্গামারী আসছে এবং উপজেলার সর্বত্র অবাধে বিক্রি হচ্ছে। এসব পাট বীজের প্যাকেটে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার, দিনহাটা, আসামের ধুবরী জেলার নাম এবং রাজা, রানী, শংখ, প্রদীপ, সূর্য, বাঘ, পান পাতা, ট্রাক্টর, চাকা সহ বিভিন্ন ধরনের লোগো রয়েছে। প্রতি কেজির এক একটি প্যাকেট ২শ’ থেকে ২শ’ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলায় বিএডিসির ষোল জন অনুমোদিত বীজ ডিলার রয়েছেন তবে তাদের কাছেই নেই দেশী জাতের পাট বীজ।
বিএডিসির অনুমোদিত বীজ ডিলারদের অভিযোগ, ভারতীয় পাট বীজে বাজার সয়লাব, দেশি পাট বীজের প্রতি কৃষকদের তেমন আগ্রহ নেই, তাই বিএডিসি’র বীজ রাখেন না।
কৃষক আঃ সাত্তার, শহিদুল ইসলাম ও আমির আলী জানান, এখন পাট বীজ বপনের উপযুক্ত সময় কিন্তু বাজারে বিএডিসির বীজ পাওয়া যাচ্ছে না। বিএডিসির বীজ না পাওয়ার কারণে বাধ্য হয়ে ভারতীয় পাট বীজ বপন করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, রবি-১ জাতের পাট বীজের ফলন আশাব্যঞ্জক। কৃষক ভাইদের রবি-১ জাত চাষ করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। সেই সাথে ভারতীয় পাট বীজ না কিনতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
ই-খ/খবরপত্র