রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
আমার কথা বলে চাঁদা-সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করলে পুলিশে দিন : আসিফ নজরুল তিস্তার পানি দ্রুত বাড়ছে আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন মাহমুদুর রহমান ঢাকার খাল দিয়ে ব্লু নেটওয়ার্ক তৈরির পরিকল্পনা করছে সরকার : পানিসম্পদ উপদেষ্টা শিক্ষাব্যবস্থায় হিন্দুত্ববাদ ও নাস্তিক্যবাদ বরদাস্ত করা হবে না : মামুনুল হক নৌকা থাকায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন হতে পারে : উপদেষ্টা আদর্শিক ভিন্নতা থাকলেও সবাই একসঙ্গে জাতি গঠনে কাজ করবে: মঞ্জুরুল ইসলাম জাতিসংঘে ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা মাহমুদ আব্বাসের মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে ভাষাসৈনিক অধ্যাপক আব্দুল গফুরের দাফন ছাত্র-জনতার অদম্য সংকল্প ও প্রত্যয় স্বৈরাচার থেকে আমাদের মুক্তি দিয়েছে

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তান্ডব এখনো ঘরে ফিরতে পারেনি ছয়টি পরিবার

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৪ জুন, ২০২৪

ঘূর্নিঝড় রেমালের তান্ডরে ঘরবাড়ি হারিয়ে মুজিব কেল্লায় নারী শিশু সহ আশ্রয় নেওয়া ছয়টি পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ঘূর্নিঝড় রেমালের তান্ডবে ঘর বাড়ি সহ সব কিছু হারিয়ে নিঃস্ ওই পরিবারগুলো দশমিনা উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর মুজিব কেল্লায় আশ্রিত অবস্থায় রয়েছেন। বর্তমানে মুজিব কেল্লায় আশ্রয় নেওয়া দেলোয়ার ঘরামীর পরিবারে ৫ জন, সাকিল হোসেনের পরিবারে ৫ জন, উজ্জল আহমেদের পরিবারে ৪ জন সোহেল হোসেনের পরিবারে ৫ জন আনোয়ার হোসেনের পরিবারে ৪ জন এবং সখিনা বেগমের পরিবারে ৫ জন সদস্য নিয়ে বসবাস করছেন। মুজিব কেল্লায় আশ্রয় নেওয়া দেলোয়ার ঘরামী জানান, ঘূর্নিঝড় রেমালের তান্ডব শুরু হলে মুজিব কেল্লা আশ্রয় কেন্দ্রে এলাকার শতাধিক পরিবারের সাথে তারাও সেখানে আশ্রয় নেন। ঝড় থেমে যাওয়ার পর তারা নিজ নিজ ভিটায় গিয়ে দেখেন তাদের বসত ঘরের আর কোন অস্তিত্ব নেই। তেতুলিয়া নদীর পানির তোরে তাদের ঘর আসবাবপত্র সহ সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। এমনকি মাটির তৈরি ভিটিটুকু পানির ¯্রােতে ধুয়ে গেছে। মুজিব কেল্লায় আশ্রিত মাহফুজা বেগম জানান, ঝড়ের সময় আশ্রয় নেওয়া শতাধিক পরিবার নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে গেলেও মাথা গোজার ঠাই না থাকায় আমরা ৬টি পরিবার ফিরতে পারিনি। নতুন করে ঘর তৈরি করার সামর্থ আমাদের নেই তাই মুজিব কেল্লায় মানবেতর জীবন কাটছে আমাদের।
মুজিব কেল্লায় আশ্রিতরা জানান, ঝড়ের দিন রাতে তাদের মুড়ি চিড়া ও চিনি দেওয়া হয়েছিল এছাড়া এখন পর্যন্ত আর কোন সাহায্য সহায়তা পাননি তারা। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, মুজিব কেল্লায় আশ্রয় নেওয়া মানুষগুলোর মাথা গোজার ঠাই নেই তাই প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে তাদেরকে ওইখানে থাকতে দেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাফিসা নাজ নীরা জানান, মুজিব কেল্লায় আশ্রিতদের মাথা গোজার ঠাই না হওয়া পর্যন্ত তারা সেখানেই থাকবেন এবং অগ্রাধিকার দিয়ে ওই পরিবারগুলোকে সব ধরনের সহায়তা করা হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com