প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালে আদালতের দেওয়া রায়ের প্রতিবাদে ও কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ও বরিশাল বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা বরিশাল-পটুয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক হয়ে ভোলা রোড প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে এসে শেষ হয়। শিক্ষার্থীরা সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘কোটা প্রথা, বাতিল চাই বাতিল চাই’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’- ইত্যাদি শ্লোগান দিতে থাকেন। অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন পদাতিকের সভাপতি ভূমিকা সরকার বলেন, আমরা এখানে মূলত কোটাপ্রথা সংস্কারের দাবিতে এসেছি। আমি একজন নারী, আমি চাই যে, নারী কোটা না থাকুক। নারী কোটার মাধ্যমে নারীদের সমাজে আরও বেশি হেয় করা হয়। ৩০% মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় কোটা ব্যবস্থাগুলোও বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ৫৬ শতাংশ কোটা কোনো দেশের স্বাভাবিক শিক্ষাব্যবস্থা হতে পারে না। মেধাবীরা পরিশ্রম করে চাকরি পাবে, কোটায় নয়। কোটা প্রথা কখনোই জাতির কল্যাণ বয়ে আনবে না। এটা দেশের মেধাবীদের সঙ্গে একধরনের উপহাস করা হচ্ছে। অপরদিকে সকাল সাড়ে ১১টায় বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন সহ কলেজ ক্যাম্পাস ও সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে। উল্লেখ্য, গত বুধবার (৫ মে) সরকারি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্য কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করেছেন উচ্চ আদালত। ফলে সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল থাকবে।