টাংগাইলের ধনবাড়ী উপজেলার পৌর শহরের ৯নং ওয়ার্ড বনির্চন্দ্রবাড়ী নেংড়া বাজারে আয়োজন করা হয় গ্রামীণ ঐতিহ্যের এক সময়ের জনপ্রিয় খেলা হা-ডু-ডু খেলার। যা এখন অনেকটাই বিলুপ্তির পথে। গ্রামের কাঁচা রাস্তায়, মাঠ, বাগানে বা খোলা স্থানে জমজমাট ও উৎসবমুখর পরিবেশে হতো এ হা-ডু-ডু খেলা। কিন্তু কালের আবর্তে সেই খেলা এখন আর দেখা যায় না। তাই জনপ্রিয় এ খেলাটি টিকিয়ে রাখা এবং নতুন প্রজন্মকে উজ্জীবিত করতে ধনবাড়ী উপজেলার পৌর শহরের বনিচন্দ্রবাড়ী গ্রামে নেংড়াবাজারে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল হা-ডু-ডু প্রতিযোগিতা। গতকাল বিকেলে ধনবাড়ী উপজেলার পৌর শহরের বনিচদ্রবাড়ী নেংড়াবাজার মোর এর আয়োজনে বাজার মাঠে বর্ণাঢ্য আয়োজনে এ হা-ডু-ডু প্রতিযোগিতার সমাপনী খেলা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। নাগরিক জীবনের ব্যস্ততায় হারিয়ে যাওয়া এ ঐতিহ্যবাহী খেলা দেখতে নেংড়া বাজার মাঠে জড়ো হয় কয়েক শতাধিক দর্শক ও ক্রীড়া প্রেমী। সমাপনী খেলায় অংশ নেয় চালাষ পশ্চিম পাড়া একাদশ ও বনিচন্দ্রবাড়ী একাদশ। এ সময় সমাপনী খেলায় বনিচন্দ্রবাড়ী একাদশকে পরাজিত করে চালাষ পশ্চিমপাড়া একাদশ চ্যাম্পিয়ন হয়। উক্ত খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধনবাড়ী পৌরসভা মেয়র মনিরুজ্জামান বকল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ধনবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপ- প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব মাসউদুল আলম উচ্ছল, ধনবাড়ী উপজেলা ছাত্র লীগের সাবেক আহ্বায়ক নূরুল হক নূরু, ধনবাড়ী প্রকৌশলী ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি জহুরুল আলম পলাশ, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ধনবাড়ী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নাছিরুজ্জামান মিলন, ধনবাড়ী উপজেলা প্রেসক্লাব এর সাধারণত সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিলন, সহ সভাপতি ইমাম হাসান সুহান, সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, ধর্ম বিষয় সম্পাদক রনি, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক মারুফ রানা রনি, ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন, যুবলীগ নেতা খোকন সহ আরো গণমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থেকে বিজয়ী ও রানার্সআপ দলের হাতে পুরস্কার ও মেডেল তুলে দেন। আসিয়া হাসান আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ এর সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, সাইফুল ইসলাম বেলাল এর সভাপতিত্বে এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পৌর মেয়র মনিরুজ্জামান বকল বলেন, এ খেলা সুস্থ ধারার বিনোদনকে উৎসাহিত করে। সুস্থ ধারার বিনোদনে মানুষ যখন সম্পৃক্ত হবে তখন তারা শারিরিক মানসিক ভাবেই সুস্থ হয়ে বেড়ে উঠবে। এ জন্য তারা মাদক থেকে দূরে থাকবে যেটা আইন শৃঙ্খলা উন্নয়নে পজেটিভ ভুমিকা পালন করবে। হারিয়ে যাওয়া এ খেলাগুলো নতুন করে আবার শুরু হলে সমাজের অপরাধ কর্মকা- হ্রাস পাবে। বিশেষ অতিথি, মাসউদুল আলম উচ্ছল বলেন, একটা সময় ছিল প্রতিটি গ্রামে হাডুডু খেলা হতো। এখন আর হাডুডু খেলা তেমন দেখা যায় না। দীর্ঘদিন পরে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা খেলোয়াড়দের খেলা দেখতে আমাদের ভালো লেগেছে। আমরা চাই এমন হাডুডু খেলার আয়োজন যে প্রতিটা গ্রামে গ্রামে অনুষ্ঠিত হয় এই ঐতিহ্য কে ধরে রাখার জন্য। ফাইনাল খেলায় সার্বিক সহযোগী ছিলেন, মিলন, রাজ্জাক, নুর নবী, আলমগীর সহ এলাকার বিভিন্ন পেশার জনসাধারণ। ফাইনাল খেলা দেখতে আসেন কেশবপুর উপজেলা সহ বিভিন্ন উপজেলার হাজার হাজার দর্শক।