প্রবল বর্ষণে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় দীঘিনালা-সাজেক-লংগদু প্রধান সড়কে যান চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নৌকা ঠেলাগাড়ি ও ভ্যান গাড়ি দিয়ে কেন্দ্রে পৌঁছায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীরা। এছাড়াও উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের ছোবাহানপুর, চিটাগাংপাড়া, ১নং কলোনি, ৩নং কলোনি এলাকায় নিম্নাঞ্চলের পানি ডুকে পানি বন্ধী হয়ে পড়েছে বহু পরিবার। এদিকে কবাখালী ইউনিয়নের মাইনী ব্রীজ থেকে কবাখালী বাজার পর্যন্ত সাজেক সড়কসপানিতে তলিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছ। এমিকে প্লাবিত অঞ্চলের পরিবারগুলোর জন্য উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে মোট ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এছাড়াও প্রবল বর্ষণে উপজেলার ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে পাহাড় ধসের সম্ভাবনা রয়েছে। এসব ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলোর বসবাসরত পরিবারগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে আসার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকী জানান, দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নে বন্যায় বেশি ক্ষতির আশংকা থাকে। ইতিমধ্যে চার-পাঁচটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত অঞ্চলগুলোনও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর পরিবারগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্রে আসার মাইকিং করা হয়েছে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুনুর রশীদ জানান, টানা ভারি বৃষ্টির কারণে উপজেলার ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সর্তকতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে, এবং ঝুকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত মানুষের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে বলা হয়েছে। যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় দীঘিনালা উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।