চলতি মৌসুমে যশোর কৃষি জোনের আওতায় ৬ জেলায় ৩৩ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন শাকসবজির আবাদ হয়েছে।এ ৬ জেলা হচ্ছে যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর। আবাদকৃত জমিতে ৫লাখ ৯৯ হাজার ১০৪ মেট্রিক টন সবজি উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোর জোন কার্যালয়ের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানান, যশোর জেলায় গ্রীষ্মকালীন সবজির আবাদ হয়েছে ৬ হাজার ৯শ’ হেক্টর জমিতে।এ জেলায় সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার ৩৪১ মেট্রিক টন।ঝিনাইদহ জেলায় গ্রীষ্মকালীন সবজির আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ৪শ’ হেক্টর জমিতে।এ জেলায় সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৫ হাজার ৩২৮ মেট্রিক টন।মাগুরা জেলায় গ্রীষ্মকালীন সবজির আবাদ হয়েছে ৯শ’ হেক্টর জমিতে।এ জেলায় সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৪৬২ মেট্রিক টন।কুষ্টিয়া জেলায় গ্রীষ্মকালীন সবজির আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ৮শ’ হেক্টর জমিতে।এ জেলায় সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮৮ হাজার ৮০ মেট্রিক টন।চুয়াডাঙ্গা জেলায় গ্রীষ্মকালীন সবজির আবাদ হয়েছে ১১ হাজার ৮শ’৫০ হেক্টর জমিতে।এ জেলায় সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ১৩ হাজার ৫৩৭ মেট্রিক টন এবং মেহেরপুর জেলায় গ্রীষ্মকালীন সবজির আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ২শ’ হেক্টর জমিতে।এ জেলায় সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৬ হাজার ৩৫৬ মেট্রিক টন।
যশোর কৃষি জোনের অতিরিক্ত পরিচালক দীপক কুমার রায় বলেন, এ কৃষি জোনের অধীন ৬টি জেলা সবজি চাষের জন্য উর্বর ক্ষেত্র।অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও এসব জেলায় গ্রীষ্মকালীন সবজির আবাদ ভালো হয়েছে।শাকসবজির চাষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি বছর গ্রীষ্মকালীন শাকসবজির বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।