বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ০১:৪২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অবহেলায় সেতুর কাজ ধীরগতি কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এনসিডি কর্ণার পরিদর্শন করলেন জাপানী প্রতিনিধি দল পাটগ্রাম উপজেলা ও পৌর জামায়াতের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল কয়রায় উপকুলের মানুষ নানান প্রতিকুলতার মধ্যে সংগ্রাম করেই বেঁচে থাকে কাপাসিয়ায় ৫০ জন সহকারী শিক্ষকের যোগদান : ফুলেল শুভেচ্ছা কমলগঞ্জে ইসলামী যুব মজলিসের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যদের মাঝে আর্থিক এবং সঞ্চয় ব্যবস্থাপনার প্রশিক্ষণ নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধের দাবিতে শ্রীমঙ্গলে সনাক-টিআইবির মানববন্ধন ফটিকছড়িতে ইফতার মাহফিলে অধ্যক্ষ নুরুল আমিন আমরা ইনসাফপূর্ণ রাষ্ট্র গঠন করতে চাই মাদারীপুরে খেলাফত মজলিসের যুগ্ম-মহাসচিব আতাউল্লাহ আমীন একটি কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করার জন্য ঐক্যবদ্ধ প্রার্থী দেয়া হবে

সিঙ্গাপুরে শিশুর প্রাণ বাঁচিয়ে অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাংলাদেশি যুবক

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪
মিয়ানমারের নাগরিক সা থু ইয়া অং (বামে), বাংলাদেশি প্রবাসী জহির (ডানে)

সিঙ্গাপুরে একটি বহুতল ভবনে জানালার বাইরে আটকে থাকা ৩ বছর বয়সী এক শিশুর প্রাণ বাঁচিয়েছেন জহির নামের এক বাংলাদেশি যুবক। এরপর থেকে ৩৪ বছর বয়সী প্রবাসী জহির প্রশংসায় ভাসছেন। জহিরের বীরত্বের জন্য তাকে ইতোমধ্যে পুরস্কৃত করা হয়েছে। খবর স্ট্রেইট টাইমসের। ঘটনার বিস্তারিত সম্পর্কে জানা যায়, সিঙ্গাপুরে গত ১৭ বছর ধরে লরি চালান জহির। গত ২০ অক্টোবর জহির ছুটির দিন দুপুরের খাবার কিনতে সাইকেলে করে দোকানে রওয়ানা হন। যাওয়ার পথে হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (এইচডিবি) ব্লকে প্রবেশ করতেই সেখানে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জহির সেখানে গিয়ে দেখতে পান যে একটি ভবনের তিনতলায় জানালার বাইরে দেয়ালের পাশে একটা শিশু দাঁড়িয়ে আছে। যেকোনো মুহূর্তে নিচে পড়ে যেতে পারে শিশুটি। আর সেখান থেকে পড়লেই নির্ঘাত মৃত্যু। এমন পরিস্থিতি দেখে জহির দৌড়ে চলে যান ওই ভবনের তিনতলার ফ্ল্যাটের মেইন দরজায়। এরপর ডোরবেল বাজান, দরজায় ধাক্কা দেন। কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ নেই। বাধ্য হয়েই নিচে নেমে আসেন জহির।
এমন সময় ঘটনাস্থলে হাজির হন জহিরের সহকর্মী সা থু ইয়া অং। মিয়ানমারের নাগরিক সা থুকে সঙ্গে নিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করেন জহির। এমন কাজের জন্য প্রশংসার পাশাপাশি তাদের পুরস্কারও দেওয়া হয়েছে। গত শুক্রবার সিঙ্গাপুরের ইয়িশুনে এসসিডিএফ বিভাগের সদর দফতরে জহিরকে সিঙ্গাপুর সিভিল ডিফেন্স ফোর্স (এসসিডিএফ) কমিউনিটি লাইফসেভার পুরস্কার প্রদান করা হয়। একইসঙ্গে তার সহযোগীকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
এনিয়ে জহির বলেন, শিশুটিকে বাঁচানোর জন্য কোনো বিনিময়ের কথা ভাবিনি। এটা আমার নিজের সন্তানও হতে পারতো। আমি আমার ৭ বছর বয়সী ছেলের কথা ভেবে বাচ্চাটিকে বাঁচিয়েছি। তবে এ পুরস্কার পেয়ে খুব সম্মানিত বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন জহির।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com