শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে উৎসুক জনতা। এটি রোধ করতে বহিরাগতদের সংসদ ভবন এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
বুধবার (৭ আগস্ট) সংসদ ভবন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী সেখানে দায়িত্ব পালন করছেন। বিভিন্ন স্তরে তারা জিজ্ঞাসাবাদ করে শুধু সংসদের কর্মকর্তা কর্মচারীরা প্রবেশ করতে পারছেন। শিক্ষার্থী ছাড়াও সেনাবাহিনীও চেকিং ছাড়া কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না, সে বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন তারা। এর আগে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) পুরো সংসদ ভবন এলাকার ময়লা-আবর্জনার স্তূপ পরিষ্কার করেছেন শিক্ষার্থীরা।
জানতে চাইলে সংসদের মূল গেটের সমন্বয়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ জাগো নিউজকে বলেন, শুধু সংসদে কর্মরত যারা আছে তাদের আমরা প্রবেশ করতে দিচ্ছি। আমরা জেনেছি আজ অনেকের হাজিরার বিষয় আছে এবং নিজেদের অফিস দেখতে এসেছেন তাদের ব্যতিত অন্য কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। সেনাবাহিনীর কাছে আমরা গেটগুলো হস্তান্তর করেছি, তাদেরই কন্ট্রোলে আছে। যারা এখানে বিশৃঙ্খলা না হয় সেটি আমরা দেখছি। এখানে যেন অপ্রয়োজনে কেউ যেন ঢুকতে না পারে, সেটি নিশ্চিত করছি। অনেকে সংসদ থেকে নিয়ে যাওয়া জিনিসপত্র ফেরত দিচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের মানবিক যে জনগণ আছে যারা রাষ্ট্রীয় সম্পদ নিয়ে গেছেন তারা অনেকে সেগুলো ফেরত দিয়ে গেছেন। সেজন্য তাদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ল্যাপটপ, প্রিন্টারসহ অনেক কিছুই দিয়ে গেছে। আমরা আশা করছি কেউ রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট না করে ফেরত দিয়ে যাবেন। এ বিষয়ে আমরা ক্যাম্পেইন করে যাচ্ছি। এদিকে, সংসদ ভবনের নিরাপত্তার পাশাপাশি সংসদ ও আশাপাশের এলাকার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছেন।