বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এবারের ছাত্র আন্দোলনে আমার সহযোগিতা করেছি। সংহতি জানিয়েছিলাম। আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহানুভূতি জানাচ্ছি। ছাত্ররা সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করেছে, এর ফলে এই স্বৈরাচার সরকারের পতন হয়েছে এবং পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি। গতকাল বুধবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই বিজয় ছাত্র ও জনতার। এই বিজয় অনেককে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছে। অনেকে লুটপাট করছে, এরা তাদের লোক, যারা গণতন্ত্র ধ্বংস করেছিল। সাবধান থাকতে হবে।
‘সামনের দিনে সুসংগত রেখে ধৈর্যের সাথে আমাদের এ বিজয় ধরে রাখতে হবে, কোনোভাবেই যেন ব্যত্যয় না ঘটে। কেউ কোনোভাবেই যেন কোনো অপকর্ম জড়িত না হয়। শুনছি, গার্মেন্টস কারখানায় আগুন দিচ্ছে। এগুলোর সাথে আন্দোলনকারীরা জড়িত নয়, এরা কখনো আন্দোলনকারী ছিল না। যারা জড়িত তারা দেশের শত্রু, জাতির শত্রু।’ বিলম্ব না করে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠন করুন রাষ্ট্রপতি প্রতির এমন আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তিন মাসের মধ্যে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। এসময় ছাত্রদের অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানান তিনি। বিএনপি মহাসচিব বলেন, স্বৈরাচার পালিয়েছে গেছে, পতন হয়েছে। কিন্তু তার দোসরা রয়ে গেছে, এরা মাথাচাড়া দিতে পারে, সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। সমাবেশে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেন, অলরেডি অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে যারা স্বৈরাচার সরকারকে সহযোগিতা করেছে, তাদের কাউকে রাখা হবে না। কারণ ওরা প্রবেশ করলে আবার দালালি করবে। নির্বাচন হবে সুষ্ঠু। নির্বাচনের ফলে জনগণের জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার গঠন হবে। সবাই আমরা এই অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করব। স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, বিদেশী প্রভুদের সহায়তা ছাড়া এবারের দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আমাদের ভয় নাই। আল্লাহতালার শুকুর আদায় করছি। সমাবেশে উপস্থিত আছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সেলিমা রহমান প্রমুখ।