পাইলস বা অর্শ রোগে অনেকেই ভোগেন। অনেকেরই ভুল ধারণা আছে, শুধু বয়স্কদেরই পাইলসের সমস্যা হয়। আসলে যে কোনো বয়সের মানুষের মধ্যেই এই রোগ দেখা দিতে পারে। মূলত খাদ্যাভাস ও অনিয়মিত জীবনযাপনের প্রভাবেই এই রোগ হয়।
পাইলস কেন হয়? এক্ষেত্রে মলদ্বারের ভেতরের শিরা ফুলে ওঠে। ফলে দেখা দেয় প্রদাহ ও রক্তপাত। কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে এ সমস্যা আরও বেড়ে যায়। এ বিষয়ে ভারতের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. পূর্ণব্রত গুঁই জানিয়েছেন, পাইলস থেকে বাঁচতে খেয়াল রাখতে হবে মল যেন কিছুতেই শক্ত না হয়। তিনি আরও জানান, পাইলসে সমস্যা প্রাথমিকভাবেই প্রতিরোধ করা যায় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার মাধ্যমে। প্রচুর পানিও পান করতে হবে। এই রোগ একেবারেই জেনেটিক নয়। আসলে পরিবারের খাদ্যাভ্যাসের ওপর নির্ভর করেই বংশের পরবর্তী প্রজন্মেরও পাইলস হয়।
তাই মলদ্বারের যে কোনো সমস্যা দেখলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আর যদি পাইলস বা অর্শ রোগ শনাক্ত হয় তাহলে সঠিক চিকিৎসার পাশাপাশি অর্শ নিরাময়ে প্রয়োজন সঠিক পথ্য ও খাদ্যাভ্যাস।
কী খাবেন? >> দ্রবণীয় ফাইবারসমৃদ্ধ ফল কিংবা শাক-সবজি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। ফলে অর্শ রোগীদের কষ্ট অনেকটাই কমতে পারে। ফাইবার অন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষায়ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
>> প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। পর্যাপ্ত পানি খেলে দেহে তরলের ভারসাম্য বজায় থাকে ও মল নরম হয়।
>> পাশাপাশি হোল গ্রেন থেকে তৈরি বিভিন্ন খাদ্য খেতে পারেন। ঢেঁকি ছাঁটা চাল খেতে পারেন।
>> কলা খেতে পারেন নিয়মিত।
কী খাবেন না? >> যেসব খাবারে ফাইবার কম থাকে, সেই খাদ্যগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো। বিশেষ করে প্রক্রিয়াজাতকরণ দানা শস্য খেলে বাড়তে পারে সমস্যা।
>> দুধ ও পনির বা চিজের মতো দুগ্ধজাত খাবারের পরিমাণ কমালে উপকার মিলতে পারে।
>> বিশেষজ্ঞদের মতে, পাইলস বা অর্শ রোগীদের মাংস খাওয়া উচিত নয়। কারণ বাজারচলতি প্রক্রিয়াজাত মাংস বাড়িয়ে দিতে পারে অর্শ সমস্যা।
>> আবার অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবারও ডেকে আনতে পারে নানান সমস্যা। খাবারে অত্যধিক তেল, মসলা ও লবণ পেটের গোলযোগের কারণ হতে পারে।
>> ধূমপান ও মদ্যপান বন্ধ করুন। সূত্র: ওয়েবিএমডি