সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৪৪ অপরাহ্ন

৯ ব্যাংকে তারল্য ঘাটতি ১৮ হাজার কোটি টাকা

সাদেক মাহমুদ পাভেল
  • আপডেট সময় সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

দেশের বাণিজ্যিক ৯টি ব্যাংকের চলতি হিসেবের তারল্য ঘাটতি ১৮ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, ঘাটতিতে থাকা ব্যাংকগুলো হলো- ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, কমার্স ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংক। এর মধ্যে ৫টি ব্যাংক তারল্য সংকট কাটাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্যারান্টি চুক্তি সম্পন্ন করেছে। চুক্তি করা ব্যাংকগুলো হলো- ন্যাশনাল ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও কমার্স ব্যাংক। এছাড়া ইসলামী ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংক গ্যারান্টি চুক্তি করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আবেদন করেছে। দুই ব্যাংকের সঙ্গে গ্যারান্টি চুক্তি করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। অপরদিকে পদ্মা ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংক এখন পর্যন্ত গ্যারান্টি চুক্তির আবেদন করেনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, তারল্য সংকটে পড়া দেশের ব্যাংকগুলোকে অর্থ ধার দিয়ে বিশেষ সহায়তা করবে ভালো ব্যাংকগুলো এবং এক্ষেত্রে ধারের টাকার গ্যারান্টি দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই ব্যাংকগুলো কী পরিমাণ অর্থ ধার দিয়ে সহায়তা দেবে, সেটাও ঠিক করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তারল্য সংকটে পড়া ৫টি ব্যাংকের সঙ্গে ঋণ গ্যারান্টির এমন চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব ব্যাংক আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজার থেকে নির্ধারিত মেয়াদে বিশেষ ধার পাবে। গ্যারান্টির প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, ৫টি ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আরও দুই ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তির আবেদন করেছে। এখনও চুক্তি হয়নি। বাকি রয়েছে দুই ব্যাংক। তারল্য ঘাটতি প্রসঙ্গে হুসনে আরা শিখা বলেন, ধরা যাচ্ছে- আলোচিত ৯টি ব্যাংকের প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা তারল্য ঘাটতিতে রয়েছে। তবে এই তারল্য ঘাটতি প্রতিদিন পরিবর্তন হচ্ছে। আজকের তারল্য ঘাটতি কালকের সঙ্গে মিল নেই। তারল্য সহায়তার ব্যাপারে হুসনে আরা শিখা বলেন, কবে সহায়তা পাবে, সেটি এখনও ঠিক হয়নি। তবে যখন ব্যাংকগুলো অর্থ ধার দিতে সম্মত হবে, ঠিক তখনই সহায়তা পাবে তারা। টাকার ধারের পরিমাণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অর্থ ধারের পরিমাণ এখন বলা যাবে না। এটা পরে ঠিক করা হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com