জুলাই গণহত্যার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করা সম্ভব উল্লেখ করে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেই বিচার করা হবে। বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। ড. আসিফ নজরুল বলেন, গণহত্যা ও গুলি বর্ষণের বিচার হবে, মামলা হচ্ছে। মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে বিচার করা যায় কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্ত হবে। তিনি আরও বলেন, সারা দেশে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা ৩ দিনের মধ্যে প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু তা করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ বাহিনী না থাকায় সেটা সম্ভব হয়নি। এখন পুলিশ যোগ দিয়েছে, আশাকরি ৩১ আগস্টের মধ্যেই সেই সব মামলা প্রত্যাহার করা হবে। বৃহস্পতিবারের মধ্যে ঢাকা শহরের মামলা প্রত্যাহার হবে। রোজিনা ইসলাম ও মাহমুদর রহমান মান্নার মামলা প্রত্যাহার হবে। আইন উপদেষ্টা বলেন, বৈষম্য সর্বব্যাপী। ধর্মের ভিত্তিতে, রাজনৈতিক ভিত্তিতে যত বৈষম্য হয়েছে তা নিরসন করা হবে।
বিচার বিভাগের সবাইকে ১০ কর্ম দিবসের মাঝে সম্পদের হিসাব দিতে হবে
আগামী ১০ কর্মদিবসের মাঝে সকল বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের দেশে-বিদেশে অবস্থিত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব বিবরণী দাখিল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের সাথে পরামর্শক্রমে’ই এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সূত্র : বিবিসি
সাগর-রুনি হত্যার বিচার না হলে জাতির কাছে দায়ী থাকবো
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার বিচার না হলে জাতির কাছে আমরা দায়ী থাকবো বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ
দপ্তরে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সাগর-রুনি হত্যার বিচার গতি পাবে কিনা; জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, অবশ্যই, আপনারা রাজপথে থেকে আমাদের চাপে রাখবেন। এই বিচার না হলে জাতির কাছে আমরা দায়ী থাকবো। আমি বিশ্বাস করতে পারি না, এমন একটি নির্মম হত্যাকা- নিয়ে কীভাবে প্রহসন করা হয়।
বিচার বিভাগ সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রে আইন মন্ত্রণালয়কে যে সহযোগিতা করতে হয়, সেটা আমরা সম্পন্ন করেছি। এরইমধ্যে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিরা নিয়োগ পেয়েছেন। আমরা এমন একজন প্রধান বিচারপতি পেয়েছি, যিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া করেছেন। এখান থেকে আপনারা বুঝে নেবেন, আমরা কীসের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। যোগ্যতা ও সততার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি।