শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৬ অপরাহ্ন

থানায় মায়ের ১২ ঘণ্টা অপেক্ষার পর মধ্যরাতে মামলা নিল পুলিশ

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট, ২০২৪

আলোকচিত্রী তাহির জামান হত্যা
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে আলোকচিত্রী তাহির জামান (প্রিয়) নিহতের ঘটনায় মামলা নিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার পর রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় মামলাটি নেওয়া হয়। এর আগে ছেলে হত্যার মামলা দায়েরের জন্য মঙ্গলবার সকাল থেকে ১২ ঘণ্টার বেশি সময় থানায় অপেক্ষা করেন তাহির জামানের মা সামসি আরা জামান।
সামসি আরা জামানের দায়ের করা ওই মামলায় সাতজনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন—সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ-আল মামুন, রমনা জোনের সাবেক ডিসি মোহাম্মদ আশরাফ ইমাম, রমনা জোনের সাবেক এডিসি হাফিজ আল-আসাদ, নিউমার্কেট থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম ও নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার রেফাতুল ইসলাম।
কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই ঢাকার গ্রিন রোডে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তরুণ আলোকচিত্রী তাহির জামান। তিনি একসময় দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ নামে একটি নিউজ পোর্টালের ভিডিও জার্নালিস্ট ছিলেন।
ছেলে হত্যার মামলা দায়েরের জন্য মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে নিউমার্কেট থানায় যান সামসি আরা জামান। রাত ১১টার দিকে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘বেলা সোয়া ১১টা থেকে থানায় এসে বসে আছি। তারা শুরু থেকেই মামলা না নেওয়ার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করছে। নানা কথা বলে আমাদের সকাল থেকে হয়রানি করা হয়েছে। এখন এসে বলছে, থানায় মামলা নেওয়ার জন্য কোনো কর্মকর্তা নেই।’
রাত সোয়া ১০টার দিকে নিউমার্কেট থানায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ঢাকা মহানগর
পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার ইসরাইল হাওলাদার পৌঁছেছেন। আগে থেকে থানায় অবস্থান করছিলেন সামসি আরা জামান, তাঁর বোন তাসফিয়া আলমসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত অর্ধশতাধিক ছাত্র-জনতা। থানায় পৌঁছে ডিএমপির ওই কর্মকর্তা উপস্থিত লোকজনের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন।
এ সময় ছাত্র-জনতার পক্ষে কথা বলেন সাতমসজিদ সড়কে গাছ রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আমিরুল রাজীব। তিনি সকাল থেকেই তাহির জামানের মায়ের সঙ্গে থানায় ছিলেন। মামলা না নেওয়ার বিষয়ে ডিএমপির নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার রেফাতুল ইসলামের দিকে অভিযোগ তোলেন তিনি। আমিরুল রাজীব বলেন, ‘থানায় আসার পর থেকেই তিনি মামলা না নেওয়ার জন্য নানা টালবাহানা করেছেন। এমনকি বিভিন্নজনকে দিয়ে ফোন করে নানাভাবে হুমকিও দিয়েছেন। মামলা যাতে রুজু না করা যায়, এ জন্য তিনি এই থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শককেও (তদন্ত) কৌশলে থানা থেকে অন্যত্র সরিয়েছেন।’
ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার ইসরাইল হাওলাদার তখন উপস্থিত ছাত্র-জনতার উদ্দেশে বলেন, থানায় মামলা রুজুর জন্য যে পুলিশ কর্মকর্তা প্রয়োজন, তা এখন এই মুহূর্তে নেই। মামলা অবশ্যই রুজু করা হবে। পাশাপাশি সহকারী পুলিশ কমিশনার রেফাতুল ইসলামের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। এরপর রাত ১২টা ৫ মিনিটে মামলার আবেদন এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে নিউমার্কেট থানা পুলিশ।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com