রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
আমার কথা বলে চাঁদা-সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করলে পুলিশে দিন : আসিফ নজরুল তিস্তার পানি দ্রুত বাড়ছে আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন মাহমুদুর রহমান ঢাকার খাল দিয়ে ব্লু নেটওয়ার্ক তৈরির পরিকল্পনা করছে সরকার : পানিসম্পদ উপদেষ্টা শিক্ষাব্যবস্থায় হিন্দুত্ববাদ ও নাস্তিক্যবাদ বরদাস্ত করা হবে না : মামুনুল হক নৌকা থাকায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন হতে পারে : উপদেষ্টা আদর্শিক ভিন্নতা থাকলেও সবাই একসঙ্গে জাতি গঠনে কাজ করবে: মঞ্জুরুল ইসলাম জাতিসংঘে ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা মাহমুদ আব্বাসের মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে ভাষাসৈনিক অধ্যাপক আব্দুল গফুরের দাফন ছাত্র-জনতার অদম্য সংকল্প ও প্রত্যয় স্বৈরাচার থেকে আমাদের মুক্তি দিয়েছে

বরগুনায় বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের সরকারি সহায়তা প্রদান করা হবে

খবরপত্র ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

জেলায় বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত আমন ধান চাষীদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে পরামর্শের পাশাপাশি সরকারি সহায়তা প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছে বরগুনা কৃষি বিভাগ।
বরগুনার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. আবু সৈয়দ মো. জোবায়দুল আলম জানিয়েছেন, আশা করছি আমনের আবাদের জন্য যে ১ লাখ হেক্টর জমি নির্ধারণ করা তা অর্জন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। যেহেতু কৃষকেরা আমন নির্ভরশীল, এ অঞ্চলের কৃষকরা শতভাগ আমন ধানের চাষাবাদ করেন। তবে আউশের ক্ষেত্রে বেশকিছু সমস্যা রয়েছে। কারণ আউশের যখন ফুল এসেছে তখন অতি বৃষ্টির কারণে ধানের মধ্যে চিটা ধরছে। যদিও এটা প্রকৃতি নির্ভর, প্রকৃতির বাইরে আমরা কিছুই করতে পারব না। বৃষ্টির কারণে আমাদের এখনে আউশের বেশকিছু ক্ষতি হওয়ার আশংকা রয়েছে।
বরগুনার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর জেলায় ৩৫ হাজার ১৯৪ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে অতিবৃষ্টিতে প্রায় ৩ হাজার ৮০৮ হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার মধ্যে ১০৮ হেক্টর জমির ধান সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া আমনের বীজতলা রয়েছে ৮ হাজার ৭০৭ হেক্টর যার মধ্যে প্রায় ৬ হাজর ১২০ হেক্টর বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৯০ হেক্টর জমির বীজতলার সম্পূর্ণ ক্ষতি হয়েছে।
বরগুনায় জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়ে টানা আগস্ট মাসের শেষ পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে। টানা দেড় মাসের বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকার ফসলের ক্ষেতে পানি জমে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আউশ ও আমন ধানের বীজতলা। এছাড়া বৃষ্টির পানিতে বারবার বীজতলা নষ্ট হওয়ায় আমন ধানের চারা সংকটে পড়েন এ অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা।
বরগুনার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. আবু সৈয়দ মো. জোবায়দুল আলম জানান, এ বছর বৃষ্টিতে আমাদের প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমির আমনের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত। আমরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে সরকারের পক্ষ থেকে কৃষকদের যে ক্ষতি হয় এর পরের বছর কৃষকদের প্রণোদনামূলক কর্মসূচির আওতায় সার এবং বীজ সহায়তা প্রদান করি। এবার যেহেতু কৃষকদের ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়েছে আশা করছি আগামীতে কৃষকদের সহায়তার পরিমাণ দ্বিগুণ করতে সক্ষম হব।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com