বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য শুধু অনভিপ্রেত নয়, এটা একটি গভীর মাস্টারপ্ল্যানের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল বুধবার রাজধানীর গোড়ানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন,
সাতক্ষীরার একটি পূজাম-প থেকে দুপুর আড়াইটার সময় একটি মুকুট কে জানি চুরি করেছে। এখানে তো বক্তব্য আছে। ঠিক আড়াইটার দিকে ওই মন্দিরের যিনি প্রধান পুরোহিত এবং আরো যারা কর্মকর্তারা ছিলেন তারা হঠাৎ করে উঠে গিয়েছিলেন, কিন্তু কেন? এটাতো বড় প্রশ্ন। এরপরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটা প্রতিবাদ জানাবেন যে, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে আমরা সংশয়ে আছি। বাংলাদেশের কোনো মন্দিরে, কোনো পূজাম-পে একটি গাছের পাতাও পড়েনি। আর আপনি ভারত, সেই দিল্লি থেকে বলে দিলেন সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সংশয়ের কথা। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য শুধু অনভিপ্রেত নয়, এটা একটি গভীর মাস্টারপ্ল্যানের অংশ।
ভারতের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এত সুন্দর একটি পূজা উৎসব হয়ে গেল তারপরও আপনারা বলেছেন- সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে আপনারা উদ্বিগ্ন। আমি ভারতের নীতির নির্ধারকদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনার পশ্চিমবাংলার বর্ধমান একটি জেলা, ওটাও আরেকটি বাংলা, যেটা ভারতের মধ্যে- সেইখানেও এই রকম একটা ঘটনা হয়েছে। মুকুট চুরি, কই সেবিষয়ে তো দিল্লির নীতিনির্ধারকরা কোন কথা বললেন না। ওখানকার পররাষ্ট্র দপ্তর তো একটা বিবৃতি দিলেন না। আপনাদের উদ্দেশ্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা, আপনাদের পদতলে রাখতে চান। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে আপনারা নিয়ন্ত্রণ করে রাখতে চান। যেমন আপনারা শেখ হাসিনার মাধ্যমে রেখেছিলেন, সেইটা হাতছাড়া হয়ে গেছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে রিজভী বলেন, আপনারা সতর্ক থাকুন। ভয়ংকর, ভয়ংকর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত হবে। শেখ হাসিনা বসে নেই। ভিডিওতে তার বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে। তিনি বলেছেন- আমি বাংলাদেশের কাছেই আছি। গোপালগঞ্জে যদি কেউ কিছু করতে আসে তাহলে তার হাত গুড়িয়ে দাও। তার কথার মধ্যে কিন্তু শান্তির কথা নেই, স্বস্তির কথা নেই। তিনি এত শিশু-কিশোর বাচ্চাদেরকে হত্যা করলেন, তারপরও তারমধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই। এখনো তার মনের মধ্যে দখলদারিত্বের মনোভাব। এই ধরনের একজন ঘাতক মহিলাকে আশ্রয় দিয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সভাপতিত্বে ও বিএনপি নেতা ইউনুস মৃধার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, হাবিবুর রশীদ হাবিব, ইশরাক হোসেন প্রমুখ।