৩০ সেপ্টেম্বর, সকাল সাড়ে ১১টা। হঠাৎ রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের জিএম মো. মনিরুজ্জামানের রুমের সামনে গিয়ে ৮/১০ জন হট্টগোল শুরু করলো দীর্ঘদিন আওয়ামী সুবিধাভোগী কর্মকর্তাদের একটি চক্র। এমনকি রুমে ঢুকে জিএম মো. মনিরুজ্জামানকে গালিগালাজ থেকে শুরু করে লাঞ্ছিত করে চক্রটি। ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলীর সঙ্গে দেখা করে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয় আওয়ামী লীগের সময়ে নানা সুবিধা নেওয়া এই চক্রটি। পরে অবশ্য বিষয়টি বোর্ডে আলোচনা হলে ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী আওয়ামী সুবিধাভোগী কর্মকর্তাদের অবান্তর দাবিকে নাকচ করে দেন। আর এই পুরো ঘটনায় নেতৃত্ব দেন আওয়ামী লীগের সময়ে দীর্ঘদিন রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিসের জেনারেল ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকা মো. রেজাউল করিম। তিনি আওয়ামী সরকারের সুবিধাভোগী, রাষ্ট্রীয় সোনালী ব্যাংকের বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে বিএনপি বনে গেছেন। ইতোমধ্যে নিজ এলাকা থেকে বিএনপির কর্মী ছিলেন মর্মে একটি সার্টিফিকেট এনে তা ব্যাংকে দেখাচ্ছেন রেজাউল করিম।
৩ অক্টোবর, বেলা ২টা। সোনালী ব্যাংকের সিবিএ নেতারা ডিজিএম (পিডি) মজিবুর রহমানের রুমে তাকে জিম্মি করে ইচ্ছামাফিক ৩০টি বদলি করিয়ে নেন। এ সময়ে মজিবুর রহমানের মোবাইল ছিনিয়ে নেয়া হয়, গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। এমনকি ওই কর্মকর্তা ওয়াশরুমে গেলেও তার সঙ্গে লোক রেখে বদলি আদেশ স্বাক্ষর করে নেওয়া হয়।
এটা হলো দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক না থাকায় শৃঙ্খলার হাল। শুধু সোনালী ব্যাংকেরই এই অবস্থা তা নয়; অন্যান্য ব্যাংকেরও একই অবস্থা। রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংকে প্রধান কার্যালয়ের ৮ তলায় একটি কক্ষ একটি গ্রুপ তাদের অফিস হিসেবে ব্যবহারের অনুমোদন নিয়েছে। ব্যাংকটির উপমহাব্যবস্থাপক মো. কামাল উদ্দিনকে স্বাক্ষরে বাধ্য করে ব্যাংকের সাধারণ অফিসকক্ষকে গ্রুপটি তাদের অফিস হিসেবে ব্যবহার করছে। শুধু তাই নয়; প্রধান কার্যালয়ে ঢাকার বাইরে থেকে একটি বদলির আদেশ হওয়ার পরও ওই কর্মকর্তা এমডি না থাকায় সপ্তাহের পর সপ্তাহ ঘুরেও যোগদান করতে পারেননি।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিয়োগের চুক্তি বাতিল করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। পৃথক ৬ প্রজ্ঞাপনে ব্যাংকগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের নিয়োগ বাতিল করা হয়। এরপর থেকে আজ অবধি শূন্য আছে এমডি ও সিইও পদটি। ভারপ্রাপ্ত এমডি দিয়ে ব্যাংক চললেও বাস্তবে হাসিনা সরকারের লুটপাট ও অর্থপাচারে চরম ভঙ্গুর অর্থনীতির এই সঙ্কটে অর্থনীতির প্রাণ এই ব্যাংকগুলো যে রকম সাহসী ভূমিকা রাখার কথা তার কোনোটাই রাখতে পারছে না। তাই আর্থিক খাতে খরা কোনোভাবেই কাটছে না।
এদিকে এমডি না থাকায় ব্যাংকগুলোর ঋণ আদায় ও ঋণ বিতরণ কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমেছে। ব্যাংকগুলোতে আমদানি-রফতানি ব্যবসা একেবারেই বন্ধ। এমনকি দৈনন্দিন ফাইলগুলো সই হচ্ছে না। এছাড়া ব্যাংকের সার্বিক কাজের গতি নেই; অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণেও স্থিতাবস্থা নেমে এসেছে। আবার ভারপ্রাপ্ত এমডিদের ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী ৩ মাসের বেশি থাকার সুযোগ নেই, তাই তারা কোনো কার্যক্রমও পরিচালনা করছেন না। অথচ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের এমডিদের ব্যাংক নিয়ে বছরব্যাপী এক ধরনের পরিকল্পনা থাকে। রাষ্ট্রায়ত্ত এই ব্যাংকগুলোকেই বলা চলে দেশের অর্থনীতির গতি নির্ধারক। আর স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের পর আর্থিক খাতের দুর্বল ভিত্তিকে শক্ত করতে দেশের ব্যাংকিং তথা আর্থিক খাতকে গতিশীল করতে বা ভঙ্গুর অর্থনীতিকে গড়তে কা-ারী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে। একই সঙ্গে জাতীয় প্রয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্ব দেওয়া হয় দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন আর্থিক খাতের বিশ্লেষক ড. আহসান এইচ মনসুরকে। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে দীর্ঘদিনের আস্থাহীনতা দূর হয়। পাশাপাশি গভর্নরের কিছু দুরদর্শী সিদ্ধান্ত-লুটেরা এস আলমের হাত থেকে ব্যাংকগুলোকে উদ্ধার করা, কিছু ব্যাংক বোর্ড ভেঙে দেয়া। এমনকি দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সহায়তার জন্য সবল ব্যাংকগুলোকে সাপোর্ট দেওয়ার মতো উদ্যোগ নেয়া হয়। এতে আর্থিকখাত অনেকটা আস্থায় আসে। কিন্তু গত ১৯ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করে কোনো ধরনের নোটিশ বা সময় না দিয়েই সরিয়ে দেওয়া হয় রাষ্ট্রায়ত্ত ৬টি ব্যাংকের এমডিকে। এরপর প্রায় ১ মাস গত হলেও এখনো নিয়োগ দেওয়া হয়নি নতুন এমডিদের। এতে আর্থিকখাত অনেকটা স্থবির হয়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এমডি ঠিক না করে এভাবে ৬ জনকে ব্যাংক থেকে অপসারণ এবং দীর্ঘদিনেও এই পদে নিয়োগ না দেওয়াকে আওয়ামী ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন আর্থিক খাতের বিশ্লেষকরা। একই সঙ্গে তারা এর দায় চাপাচ্ছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের রুটিন দায়িত্ব পালন করা বিভাগটির অতিরিক্ত সচিব অমল কৃষ্ণ ম-লের ওপর।
এদিকে প্রায় এক মাস ধরে এমডি না থাকায় অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে আর্থিক খাতের মেরুদ- এই ব্যাংকগুলো। তাই এ পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে দ্রুত নতুন এমডি নিয়োগ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ারম্যানরা। গত সোমবার সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ অনুরোধ জানান তারা। অর্থ উপদেষ্টা বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন। অবশ্য গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং ডিভিশনের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, এমডি নিয়োগ নিয়ে ইতোমধ্যে একাধিক সভা হয়েছে। যোগ্যদের পাওয়া কষ্টসাধ্য হচ্ছে। একই সঙ্গে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে, তাই নিয়োগে বিলম্ব হচ্ছে। তবে দ্রুতই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসছে বলে উল্লেখ করেন এই কর্মকর্তা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এমডি না থাকায় শুধু কাজের গতি নয় অনেক ক্ষেত্রেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে স্থিস্তাবস্থা দেখা যাচ্ছে। এমডি অপসারণের পর ডিএমডি-১ ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও তা অনেকটাই রুটিন ওয়ার্ক বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এমডি না থাকার কারণে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলাও পুরোপুরি কাজ করছে না। সেই সঙ্গে পদোন্নতি কার্যক্রমও গতিশীল হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক ব্যাংকের কর্মকর্তা।
এদিকে ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, এমডি না থাকায় খেলাপি ঋণ আদায় বিষয়েও শক্ত কোনো সিদ্ধান্ত বা উদ্যোগ নিতে পারছে না ব্যাংকগুলো। এতে করে আবারও বাড়তে শুরু করেছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ।
বিভিন্ন ব্যাংকে সরেজমিন ঘুরে এবং কথা বলে জানা যায়, কোনো ধরনের সময় না দিয়ে হঠাৎ করে ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের নিয়োগ বাতিল করায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে হ-য-ব-র-ল অবস্থা বিরাজ করছে। কে হবেন, কাকে এমডি দিবেন এ নিয়ে চলছে ব্যাংকগুলোতে নানা আলোচনা।
এদিকে ব্যাংকিংপাড়ায় চাউর আছে সরকারি সাবেক আমলাদের এসব ব্যাংকের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। তবে এরকম সিদ্ধান্ত ব্যাংকিং খাতের জন্য বুমেরাং হবে বলে মনে করেন তারা। কারণ সাবেক আমলারা ব্যাংকিং খাত নিয়ে খুব একটা অভিজ্ঞ নয়। তাই এমডি নিয়োগে অবশ্যই ব্যাংকিং খাতের লোকজনকে এমডি দেওয়ার অনুরোধ সংশ্লিষ্টদের। এছাড়া আলোচনায় আছে অবসরে যাওয়া সাবেক এমডি ও ডিএমডিদের আবার এসব ব্যাংকে এমডি হিসেবে বসানো হতে পারে। এক্ষেত্রে বঞ্চিত, সৎ ও অভিজ্ঞ হিসেবে নাম আলোচনায় আছেÑ রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) মো. এবনুজ জাহান, কৃষি ব্যাংকের সাবেক এমডি মো. আলী হোসেন প্রধানিয়াসহ একাধিক ব্যাংকারের নাম। যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাংকার বলেছেন, জাতীয় প্রয়োজনে বয়সের সীমা উঠিয়ে হলেও সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী ব্যাংকের সাবেক এমডিদের মধ্যে যারা সৎ ও দক্ষ ব্যাংকার ছিলেন তাদের ফিরিয়ে আনা হোক। উদাহরণ হিসেবে একাধিক ব্যাংকার বলেন, সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডি তাহমিলুর রহমান, সাবেক এমডি তারিকুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক ডিএমডি মো. এবনুজ জাহান, সাবেক ডিএমডি গোলাম ফারুক, অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি মিজানুর রহমানসহ একাধিক সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তা আছেন। বর্তমান ক্রান্তিকালে আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বয়সসীমা উঠিয়ে দিয়ে তাদের আবার ফিরিয়ে আনার দাবি জানান। আবার একাধিক ব্যাংকার এ-ও বলেছেন, সদ্য বাদ দেওয়া এমডিদেরও অনেকেই ব্যাংকিং খাতে সততা ও দক্ষতার অন্যতম উদাহরণ ছিল। তাদের মধ্যে থেকেও দু-একজনকে ফিরিয়ে আনা যেতে পারে। কারণ, বিভিন্ন ব্যাংকে বিদায়ী এমডিদের মতো দক্ষ ব্যাংকারের ঘাটতিও রয়েছে।
বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং ডিভিশনের এমডিদের অপসারণের সিদ্ধান্ত কিছুটা হলেও জটিলতার জন্ম দিয়েছে। কারণ, দুই বছর ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) পদে দায়িত্ব পালন করেছেন এমন ব্যক্তিদের মধ্য থেকেই এমডি নিয়োগ দিতে হবে। এক্ষেত্রে বর্তমান অধিকাংশ ডিএমডিই সাবেক আওয়ামী সরকারের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত। তারা কোনো না কোনোভাবে পতিত আওয়ামী সরকারের সুবিধাভোগী কিংবা ব্যাংক লুটের কার্যক্রমে সহায়তাকারী। সেক্ষেত্রে এমডি নিয়োগের ক্ষেত্রে সঙ্কট দেখা যাচ্ছে। বর্তমান কয়েকজন ডিএমডি দৌড়ঝাঁপও শুরু করেছেন। তাঁদের অনেকেই আগে ঋণখেলাপি প্রতিষ্ঠানগুলোকে অর্থায়নে ভূমিকা রেখেছেন। তারাই এখন নতুন রাজনৈতিক পরিচয়ে এমডি হওয়ার চেষ্টা করছেন।
এদিকে ডিএমডি পদে দায়িত্বরত একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের ব্যাংকগুলোর এমডি পদে নিয়োগ দিলে তারাও বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে পারেন। কারণ গত আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তাদের বাধ্যতামূলক অংশগ্রহণ করতে হয়েছে। আবার একাধিক ব্যাংকের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নতুন এমডি নিয়োগের ক্ষেত্রে যারা যে ব্যাংক থেকে মহাব্যবস্থাপক (জিএম) হয়েছেন তাদের ওই ব্যাংকে নিয়োগ দেওয়া যথোপযুক্ত। কারণ, তিনি ওই ব্যাংকের আদ্যোপান্ত জানেন। ব্যাংকটিকে আরো কিভাবে ভালো করা যায় সেটা নিয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে পারবেন।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের আলাদা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আফজাল করিম, অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মুরশেদুল কবির, রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. জাহাঙ্গীর, জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আব্দুল জাব্বার, বেসিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আনিসুর রহমান এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (বিডিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হাবিবুর রহমান গাজীর সঙ্গে পরিচালনা পর্ষদের সম্পাদিত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিলের জন্য সরকারের সম্মতি জ্ঞাপন করা হলো। এতে ব্যাংক কোম্পানি আইন ও পরিচালনা পর্ষদের সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী তাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিলের বিষয়ে পরবর্তী বিধিগত কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
অগ্রণী ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান ও সাবেক এমডি সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ বলেছেন, সরকারি সব ব্যাংকের অবস্থা খারাপ। অগ্রণী ব্যাংককে আমি যেভাবে রেখে গিয়েছিলাম, সে অবস্থায় নেই। এ জন্য এখন নেতৃত্ব দিতে পারে ও ব্যবস্থাপনায় দক্ষ কাউকে সরকারি ব্যাংকটির এমডি হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে। তাঁকে অবশ্যই সৎ হতে হবে। সূত্র: ইনকিলাব