শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৬ পূর্বাহ্ন

ড. রবিউল আলমের আবিষ্কৃত নতুন শিল্পায়ন সূত্র

খবরপত্র ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪

ড. রবিউল আলমের আবিষ্কৃত নতুন সূত্রের মাধ্যমে শিল্পায়ন এবং পরিবেশ ও জলবায়ু সুরক্ষার এক নতুন দ্বার উন্মোচিত: গত ১৭ অক্টোবর সকাল ১০ দশটায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিল্পমন্ত্রণালয়ের আয়োজনে উক্ত মন্ত্রণালয়ের (ডিপিডিটি) সম্মেলন কক্ষে “The Rabiul Constant: Intellectual Property Contributions to Sustainable Development in the Paper, Jute, and Textile Sectors” শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সেমিনারে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. মুহম্মদ রবিউল আলম তাঁর আবিষ্কৃত সূত্রের উপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।যে সূত্রটির পেটেন্ট ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ সরকারের গেজেট ভুক্ত হয়েছে। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব মোঃ মুনিম হাসান।
ড. মুহম্মদ রবিউল আলম তার উপস্থাপনায় বলেন এই উদ্ভাবিত সূত্র প্রয়োগের মাধ্যমে তিনি দেখিয়েছেন সনাতন পদ্ধতিতে পাট উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও পাটের ব্যবহারের ক্ষেত্রে সকল সমস্যার সমাধান করে সোনালী আঁশের উৎপাদনে নিম্নমানের জুট কাটিংস এর পরিবর্তে উন্নত গুণগতমান সম্পন্ন কাগজ,পাট ও ব্লেন্ডেড তুলা উৎপাদন সম্ভব হবে। দেশে কাগজ শিল্পের জন্য কাচামালের যে ঘাটতি আছে সেটা পূরণ সম্ভব হবে। বাংলাদেশে ১৬০টি পেপার মিল আছে কিন্তু বাংলাদেশের কোথাও কাগজ উৎপাদনের জন্য আশ জাতীয় কাঁচামাল থেকে যে পাল্প প্রয়োজন সেটা উৎপাদন হয় না। কারণ বাংলাদেশে বাঁশ-কাঠের একটা বিরাট ঘাটতি রেেয়ছ। কিন্তু এই উদ্ভাবিত সূত্র অনুযাযী প্রচুর পরিমাণ কাগজ উৎপাদনের কাঁচামাল পাওযার সম্ভাবনা রয়েছে যাতে দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হবে। তাছাড়া এর মাধ্যমে কম মূল্যের যে পাটকাঠি সেটা থেকেও উন্নত মানের কাগজ উৎপাদন সম্ভব হবে। দেশে যে বিরাট বেকার সমস্যা রয়েছে এই সূত্র প্রয়োগ এর ফলে বেকার সমস্যার সমাধান হবে, শিল্পায়নের সম্প্রসারণ হবে এবং জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে একটা বিরাট অবদান রাখবে। এর ফলে বাংলাদেশের কৃষকদের মধ্যে পাট চাষের ব্যাপারে যে অনীহা তৈরি হেেয়ছ সেটা দূর হবে, কৃষকরা পাটের ন্যায্য মূল্য পাবে এবং পাটের সোনালী যুগ আবার ফিরে আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং দেশের জিডিপি বৃদ্ধি ও শিল্পায়নে সূত্রটি লিকুইড গোল্ড হিসাবে কাজ করবে বলে তিনি মনে করেন। ইতিপূর্বে তিনি তার উদ্ভাবিত সূত্র ২০১৬ সালে বাংলাদেশে প্রথম অনুষ্ঠিত ১৬তম এশিয়ান কেমিক্যাল কংগ্রেস, ২০১৮ সালে ৩৯ তম বাংলাদেশ কেমিক্যাল কংগ্রেস সহ বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্থাপন করেন। এছাড়াও বাংলাদেশ জুট রিসার্চ ইনস্টিটিউট(BJRI) এর সাথে তিনি তার উদ্ভাবিত সূত্রের প্রয়োগ নিয়ে যৌথভাবে কাজে সম্পৃক্ত আছেন। সেমিনারে উপস্থিত সকলে তাঁর এ উদ্ভাবনের ভূযষী প্রশংসা করেন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন
মোঃ নুরুজ্জামান,অতিরিক্ত সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়, মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সচিব শিল্প মন্ত্রণালয়, মোহাম্মদ মশিউর রহমান, যুগ্ম সচিব, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়, ডক্টর এ এফ এম আমির হোসাইন, উপসচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়, শেখ আব্দুল্লাহ সাদিক, সিনিয়র সহকারী সচিব পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়,আহসান মাহমুদ, সহকারী সচিব,শিল্প মন্ত্রণালয়,মোহাম্মদ ফরহাদ আহমেদ আকন্দ,চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশন,
মোহাম্মদ রাশিদুল মান্নাফ কবির, পরিচালক, ডিপিডিটি,মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, পরিচালক, ডিপিডিটি, স্বপন কুমার রায়, পি এস ও, বিসিএসআইআর,ডক্টর মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, এস এস ও, বিসিএসআইআর,এস এম আবু সাঈদ উপ-পরিচালক, বিএসটিআই, মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট, মোঃ শহিদুল ইসলাম, উপ-পরিচালক, (ট্রেডমার্ক) ডিপিডিটি, সাইদুজ্জামান, উপপরিচালক, ডিপিডিটি, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কার্টুনিস্ট ইব্রাহিম মন্ডল, ডি আর এগ্রো পলিটেক্স এর পরিচালক আব্দুল গফুর খান, আতাউল হক, নাজমুস সাদাত প্রমুখ। সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবগণ সরকারের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন এবং সেই সাথে এ বিরাট প্রকল্প বাস্তবায়নে দেশের শিল্প উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। শিল্পায়নের পাশাপাশি এ সূত্রের মাধ্যমে পরিবেশ ও জলবায়ু সুরক্ষায় বিরাট অবদান রাখার আশা ব্যক্ত করেন।উল্লেখ্য যে ডক্টর মুহম্মদ রবিউল আলম ইতিপূর্বে মহাব্যবস্থাপক হিসেবে কর্ণফুলী পেপার মিল ও পলাশ সার কারখানায় কর্মরত ছিলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com