অন্ধ জনে দেহ আলো” -এ প্রবাদকে সামনে রেখে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পেড়লীতে সহস্রাধিক দুস্থ ও অসহায় মানুষকে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়েছে। এলাকার কৃতি সন্তান লন্ডন প্রবাসী প্রয়াত ব্যারিষ্টার গোলাম হাফিজ এর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার কন্যা রিয়া রুবায়েত হাফিজ এর পৃষ্ঠপোষকতায় এবং খুলনা বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতাল ও ফ্রেড হলোজ এর যৌথ উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) নির্মাণাধীন ব্যারিষ্টার হাফিজ হাসপাতালে আয়োজিত দিনব্যাপী ১৬তম চক্ষু চিকিৎসা শিবিরে ১ হাজার ১৬৫ জন রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়। এদের মধ্যে ৩২৫ জন পুরুষ ও ৮৪০ জন মহিলার চক্ষু বিনামূল্যে পরীক্ষা করে ব্যবস্থাপত্র প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া, ২৫০ জন রোগীকে বিনামূল্যে চশমা প্রদান করা হয় এবং বাছাইকৃত ১৫৪ জন ছানীপড়া রোগীর চোখে বিনামূল্যে অস্ত্রপচার করে লেন্স সংযোজন ও চোখে নালী জনিত ৩ জন রোগীকে অস্ত্রপচারের জন্য ওইদিন নিজস্ব পরিবহণে খুলনা বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এসব রোগীদের চিকিৎসা শেষে শনিবার পুনরায় চিকিৎসা ক্যাম্পে হাসপাতালের নিজস্ব পরিবহনে পৌঁছে দেয়া হবে। ব্যারিষ্টার হাফিজ ট্রাস্টের সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক মোঃ কামাল হোসেনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত উক্ত চক্ষু চিকিৎসা শিবিরে খুলনার শিরোমণিস্থ বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের সহকারী সার্জন ডাঃ হাসিবুল ইসলাম ও সহকারী সার্জন ডাঃ সাদিয়া আফরিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত রোগীদের চক্ষু পরীক্ষা করে ব্যবস্থাপত্র প্রদান করেন। ওই চিকিৎসা শিবিরে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের পাবলিক রিলেশন অফিসার মীর মিজানুর রহমান, মৌমিতা, আল-আমিন, ক্যাম্প সহকারী সৈয়দ রাতুল মাহমুদ, মোঃ মেহেদী হাসান, মোঃ রাশেদুল ইসলাম ও মোঃ ডালিম। গ্রাম বাংলার একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসাসেবা পেয়ে এলাকাবাসী আয়োজকদের প্রতি অত্যন্ত সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। প্রতিবছর বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসাসেবার এ মহতী উদ্যোগ অব্যাহত রাখার জন্য তারা সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানিয়েছেন। এ বিষয়ে ব্যারিষ্টার হাফিজ ট্রাস্টের সভাপতি মোঃ কামাল হোসেন জানান, ‘সকলের সহযোগিতা থাকলে জনস্বার্থে প্রতিবছর এ কার্যক্রমের আয়োজন করা হবে।’