কুড়িগ্রামের রৌমারী কাস্টমসে প্রতিমাসে নিলাম ডাকে সিন্ডিকেটের কারনে লাখ লাখ টাকা রজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। জানা যায়, উপজেলার সাহেবের আলগা, খেতারচর, ছাট কড়াইবাড়ি, ধর্মপুর, চরের গ্রাম, গয়টা পাড়া, বেহুলারচর, খাটিয়ামারী নওদা পাড়া, ভুন্দরচর, উত্তর বারবান্দা, চুলিয়ারচর ও ঝাউবাড়ি সীমান্ত দিয়ে প্রায় দিন ভারত থেকে গরু জিড়া, চিনি, মাদক পাচার করছে চোরাকারবারী। টহলরত বিজিবি মাঝে মধ্যে অবৈধভাবে ভারত থেকে আসা এসব গরু, জিড়া, চিনি ও মাদক আটক করা হলেও রৌমারী কাস্টমসে সিন্ডিকেটের কারণে সরকারী নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করেই আধাআধি দরে নিলামে ক্রয় করে নিচ্ছে সিন্ডিকেটের লোকজন। ফলে প্রতি নিলামে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। চলতি নভেম্বর মাসে ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে আসা বিজিবি যথাক্রমে ৭,২,২, মোট ১১ টি গরু আটক করেন। বিজিবির দেয়া গরুর মূল্য ১০ লাখ টাকা দেখিয়ে নিলাম ডাকে জমা দেন কাস্টমসকে। গত ২৫ নভেম্বর সোমবার সকাল ১১ টায় নিলাম ডাকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলে নিলামে অংশ নিতে মোট ৪৩ জন ব্যাংক ড্রাফ্ট (বিডি) দিয়েছিলেন। কিন্তু নিলামে ডাক ধরেছেন ৪ জন। অন্যদের কাউকে নিলামে অংশ গ্রহন করতে দেয়া হয়নি। সরেজমিনে দেখা গেছে, নিলামে ভারতীয় ষাঁড় গরু ৭টি (ছোট) গাভী ১টি (মাঝারি), ষাঁড় বাছুর গরু ২টি এবং বকনা গরু ১টি (মাঝারি) রৌমারী শুল্ক গুদাম প্রাঙ্গনে প্রকাশ্যে নিলামের মাধ্যমে বিক্রয় করা হবে। আগ্রহী ক্রেতাদেরকে শুল্ক কর্মকর্তা বরাবরে ৫ লাখ টাকা পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমাদান পুর্বক নিলাম ডাকে অংশ গ্রহন করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে মাইকিং এবং নিলাম বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন। চুড়ান্ত নিলাম ডাকে ৪৩ জন গ্রাহক অংশ গ্রহন করলেও ৪ জন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সরকারের দেয়া মূল্য ৪ লক্ষ টাকার স্থলে ২ লক্ষ ৫ হাজার টাকায় আল আমিন নামের এক ব্যক্তি নিলাম ডাকে গরু নেন। এতে সরকার প্রায় অর্ধেক টাকা রাজস্ব বঞ্চিত। স্থানীয় লোকজন বলেন, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিলামে গরু বিক্রির কারণে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। এবিষয়ে রৌমারী শুল্ক গুদাম কর্মকর্তা মো. গোলাম হোসেন কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট সার্কেল রৌমারী জানান, আমি যোগদানের পর থেকে দেখছি নিলাম ডাকে সিন্ডিকেট ছাড়া বিক্রি করা যাচ্ছে না। এবং যারা সিন্ডিকেট করে অন্য কাউকে ডাকতে দেয়া হয় না। এতে সরকার লাখ লাখ টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে। খোলা ডাকের ব্যবস্থা করতে পারলে সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হতো না। নিলাম ডাকে উপস্থিত থাকার জন্য উপজেলা প্রশাসন, বিজিবি ও পুলিশের সদস্যদেরকে পত্রের মাধ্যমে জানানো হয়। তারা উপস্থিত থাকলে হয়তো এ সিন্ডিকেটটা হতো না এবং সরকারও রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হতো না।