শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২০ অপরাহ্ন

যাত্রী সংকটে জাহাজ যায়নি সেন্টমার্টিনে

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪

অনুমতি পেয়েও যাত্রী সংকটের কারণে সেন্টমার্টিন যায়নি কেয়ারি সিন্দাবাদ নামের একটি পর্যটকবাহী জাহাজ।
পূর্ব ঘোষণা মতো গত বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) পর্যটকদের নিয়ে সেন্টমার্টিন যাওয়ার কথা ছিল জাহাজটির। তবে আশানুরূপ টিকিট বিক্রি না হওয়া যাত্রী সংকটে যাত্রা বাতিল করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেয়ারি সিন্দাবাদের কক্সবাজারস্থ ইনচার্জ নুর মোহাম্মদ ছিদ্দিকী। তবে, ১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটক নিয়ে জাহাজ চলাচল করার নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
গত ১৯ নভেম্বর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সাবরীনা রহমান স্বাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশে সেন্টমার্টিনের পর্যটন নিয়ন্ত্রণে কমিটি গঠন হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে ওঠার আগে এন্ট্রি পয়েন্টে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের তৈরি করা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করে ট্রাভেল পাস দেখাতে হবে।
ট্রাভেল পাসধারী পর্যটকদের অনুমোদিত জাহাজে ভ্রমণ নিশ্চিত করবে গঠিত কমিটি। পর্যটক ও অনুমোদিত জাহাজে পলিথিন ব্যাগ ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের পণ্য পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পর্যটকরা সেন্টমার্টিন দ্বীপে পৌঁছার পর কোন হোটেলে থাকবেন, তা লিপিবদ্ধ করার পাশাপাশি রেজিস্ট্রারে সংরক্ষণ করা হবে। এসব বিষয় না মানলে গুনতে হবে জেল-জরিমানা।
কিন্তু গুগুল প্লে-স্টোরে ট্যুরিজম বোর্ডের কোনো অ্যাপ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই কোথা হতে সেন্টমার্টিন ভ্রমণের ট্রাভেল পাস মিলবে সেটা এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারছে না জেলা প্রশাসন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত গঠিত কমিটির কেউ-ই। তবে, পর্যটক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক চিঠিতে একটি ওয়েবসাইট দেওয়া আছে। এখান হতে নিবন্ধন করে ছজ কোড যারা পেয়েছেন তারা ভ্রমণ নিশ্চিত করতে পারবেন বলে উল্লেখ করা হয় চিঠিতে। কিন্তু তা নিয়ে প্রচারণা না থাকায় ওয়েবসাইট বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
কেয়ারি সিন্দাবাদের ইনচার্জ নুর মোহাম্মদ সিদ্দিকী বলেন, বৃহস্পতিবার জাহাজ সেন্টমার্টিন যেতে প্রস্তুত থাকলেও যাত্রী সংকটে তা আর হয়ে ওঠেনি। যাত্রীদের সেন্টমার্টিন ভ্রমণে আগ্রহ আছে, কিন্তু ট্রাভেল পাস নিয়ে দ্বিধায় পড়েছেন। আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছি ১ ডিসেম্বর সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্য কক্সবাজার ছাড়বো। ইতোমধ্যে সেভাবে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। সেন্টমার্টিন সংক্রান্ত কমিটির আহ্বায়ক ও কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নীলুফা ইয়াছমিন চৌধুরী বলেন, আমাদের কমিটির কাজ হলো কক্সবাজার সদরের কোন পয়েন্ট থেকে জাহাজ ছাড়বে তা নিশ্চিত এবং পর্যটক ও অনুমোদিত জাহাজে পলিথিন ব্যাগ ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের পণ্য পরিবহন হচ্ছে কি না তা যাচাই করা। কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটিএর ঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। অনুমতিপ্রাপ্তরা যখন ইচ্ছে জাহাজ চলাচল শুরু করতে পারেন। ট্রাভেল পাসের বিষয়ে আমরা পুরোপুরি অবগত নয়।
বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ডের উপ-পরিচালক (বিপণন ও ব্রান্ডিং) মহিবুল ইসলাম বলেন, সেন্টমার্টিন ট্রাভেল পাস নিয়ে আলাদা ওয়েবসাইট ডেভেলপ করা হচ্ছে। এটি দ্রুতই সম্পন্ন করার কাজ চলছে। তবে কবে নাগাদ শেষ হবে সঠিক বলা যাচ্ছে না। ট্রাভেল পাসের বিষয়টি সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।
কেয়ারি সিন্দাবাদের কক্সবাজারের ইনচার্জ নুর মোহাম্মদ বলেন, কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজের ধারণক্ষমতা ৩৫০ জন। যেহেতু এখনো ট্রাভেল পাস নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, কম পর্যটক হওয়ায় আপাতত ট্রাভেল পাস ছাড়া যেতে পারবে। পরবর্তীতে ট্রাভেল পাস আসলে সেটি সমন্বয় করা হবে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন জানান, কেয়ারি সিন্দাবাদ নামের একটি জাহাজ কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিনে পর্যটকবহনে অনুমতি চেয়ে আবেদন করে। জাহাজের ফিটনেস এবং কাগজপত্র পর্যালোচনা করে কেয়ারীকে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌরুটে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com