পাকিস্তান ক্রিকেটে বোর্ডের চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে দলের কোচ-অধিনায়ক, কে কখন দায়িত্ব আর বিদায় নিচ্ছেন এটা যেন গোলকধাঁধা। এবার বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ানদের টেস্ট দলের দায়িত্ব ছাড়লেন জেসন গিলেস্পি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ শুরুর আগে সরে দাঁড়ালেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই পেসার। গত মাসে সাদা বলে অন্তবর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব নেওয়া আকিব জাবেদ এবার টেস্ট দলকেও সামলাবেন।
গিলেস্পির চাকরি ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ক্রিকেট পোর্টাল ক্রিকবাজ। পিসিবির বরাত দিয়ে একই বিষয় জানিয়েছে ইএসপিএনক্রিকইনফোও। যদিও গিলেস্পির চাকরি ছাড়ায় বিষ্ময়ের কিছু নেই। কিছুদিন ধরেই এ নিয়ে গুঞ্জন ছিল। সহকারী কোচ টিম নিয়েলসেনের সঙ্গে চুক্তি নবায়নে পিসিবি অস্বীকৃতি জানানোর পর, গিলেস্পি চাকরি ছাড়াটা একরকম প্রত্যাশিতই ছিল।
গিলেস্পি সরে যাওয়ার পরপরই এক বিবৃতিতে আকিবকে লাল বলের কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে পিসিবি। তার প্রথম মিশন হবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। ২৬শে ডিসেম্বর সেঞ্চুরিয়নে শুরু হবে প্রথম টেস্ট, আর দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে কেপটাউনে আগামী ৩রা জানুয়ারি। সাদা বলের সংস্করণেও অর্ন্তর্বতীকালীন কোচের দায়িত্ব পালন করছেন আকিব।
চলতি বছরের এপ্রিলে দুই বছরের জন্য পাকিস্তানের টেস্ট দলের কোচ নিয়োগ দেওয়া হয় গিলেস্পিকে। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ চলাকালে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় উপেক্ষা করা হয় তাকে, যা ভালোভাবে নেননি গিলেস্পি। এছাড়া আরও কিছু কারণে পিসিবির সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব চলছিল। দায়িত্ব নেওয়ার গিলেস্পির প্রথম মিশনে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের কাছে ২–০ ব্যবধানে হারে পাকিস্তান। তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২–১ ব্যবধানে জিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় গিলেস্পির দল। কারস্টেন বিদায় নেওয়ার পর নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় সাদা বলের দায়িত্বও পালন করেন গিলেস্পি। যেখানে ওয়ানডে সিরিজে ২–১ ব্যবধানে জিতলেও হোয়াইটওয়াশ হয় টি–টোয়েন্টি সিরিজে।
এর আগে পাকিস্তানের সাদা বলের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ান গ্যারি কারস্টেনও। গিলেস্পির মতো তিনিও গত এপ্রিলে নিয়োগ পেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বনিবনা না হওয়ায় অক্টোবরে চাকরি ছাড়ার ঘোষণা দেন কারস্টেন। দুজন বিদেশি কোচ ছয় মাসও স্থায়ী হতে পারলেন না পাকিস্তানে।