সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের চকরসুল্লাহ গ্রামের আব্দুল মালেক এর স্ত্রী মাস্টার্স কমপ্লিট করা রত্না চাকুরির পিছে না ছুঁটে নিজেকে প্রান্তিক কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এমন সময় তাঁকে অর্থনৈতিক ও কারিগরী সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন বাংলাদেশের স্বনামধন্য টেকসই ও মজবুত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আশা তাড়াশ ব্রাঞ্চ। রত্না বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থায়নে আশা কর্তৃক পরিচালিত এসএমএপি ঋণ এক লক্ষ টাকা গ্রহণ করে প্রথমে বাণিজ্যিক ভাবে ২৫০ বস্তা আদা চাষে সফলতা অর্জন করে তাক লাগিয়েছেন। এবার স্বপ্ন বুনেছেন আলু ও পেঁয়াজ চাষে। পরিবারের সকল কাজের পাশাপাশি কৃষি খাতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্নে বিভোর রত্না। বুধবার (১৮ডিসেম্বর) সকালে রত্নার কৃষি/সবজি বাগানে গেলেই সিমেন্ট ও সারের বস্তায় পতিত জমিতে সারি সারি আদার গাছ সবুজ বাগানে সেজেছে এমন চিত্রের দেখা মেলে। বস্তায় আদা চাষ করে এলাকা জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন রত্না খাতুন। তাকে দেখে এখন অনেক কৃষক/কৃষাণী এ পদ্ধতিতে আদা চাষে আগ্রহী হবেন বলে মনে করেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ। নারী উদ্যোক্তা রত্না এ প্রতিবেকদকে জানান,খুব অল্প বয়সে আমার বিয়ে হয়েছে। তবে আমার মনবল দৃঢ় থাকায় নিজেকে সুশিক্ষিত করে তুলতে স্বপ্ন দেখতাম সবসময়। এব্যাপারে আমার স্বামী আমাকে সবসময় সহযোগিতা করেছেন। তার সহযোগিতায় আজ দুই ছেলেকে সময় দেওয়ার পরও সাংসারিক কাজে ব্যস্ত থেকেও আমি পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পেরেছি। সব শেষে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে মাস্টার্স কমপ্লিট করে দুই ছেলেকে উচ্চ শিক্ষিত করে তুলতে এবং পরিবারকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা করব বলে চাকুরি খুুঁজতে থাকি। এমন সময় চাকুরি না পেয়ে নিজেকে কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করি। আদা চাষের পর বর্তমান ৩০ শতক জমিতে এখন শীতকালীন সবজি আলু ও পেঁয়াজ চাষ করেছি। আশা করি এ সবজিতে ভালো লাভবান হতে পারব ইনশাআল্লাহ। এসময় রত্নার সবজি চাষ মাঠ প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন আশা এনজিও সিরাজগঞ্জ শাখার সিনিয়র রিজিওনাল ম্যানেজার (এগ্রী) জনাব মোঃ আব্দুল খালেক এবং আশা তাড়াশ ব্রাঞ্চের সিনিয়র ম্যানেজার মোঃ গোলাম মোস্তফা সহ স্থানীয় সাংবাদিক বৃন্দ।